সোমবারও ডায়ালসিস করে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বাড়ি ফেরে সে। অসম্ভব মনের জোর। দুটো কিডনি তার অকেজো। তা নিয়েই এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে নিউ ব্যারাকপুরের তীর্থঙ্কর সরকার। মঙ্গলবার বাংলা পরীক্ষা বেশ ভালোই দিয়েছে বলে তীর্থঙ্কর জানিয়েছে।
তীর্থঙ্করের বাড়ি নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে কোদালিয়ার রাজা রামমোহন সরণিতে। বাবা সুকর্ণ সরকার উল্টোডাঙা-সল্টলেক রুটে অটো চালান। দুই ভাইবোনের মধ্যে তীর্থঙ্কর বড়। তিন বছর বয়সে মেরুদণ্ডে টিউমার অপারেশন করার সময়ে দেখা দেয় স্নায়ু সমস্যা। তীর্থঙ্করের একটি কিডনি বিকল তা ধরা পড়ে ২০১৪। এখানেই শেষ নয়।

২০১৯ সালে ধরা পড়ে আরেকটি কিডনিও বিকল। তীর্থঙ্করের বাবা সুকর্ণ সরকার জানান, “সপ্তাহে দুদিন ডায়ালসিস চলছে। সোমবার ওর ডায়ালসিস ছিল। ওকে নিয়ে বাড়িতে ফিরেছি রাত সাড়ে ১১টায়। তবে ছেলে বলেছে বাংলা পরীক্ষা বেশ ভালোই দিয়েছে।”
তীর্থঙ্করের মা তন্দ্রা সরকার ছেলেকে লেখাপড়ায় উৎসাহ যোগান। পাশাপাশি চিকিৎসার খরচ নিয়েও চিন্তিত তিনি। এখন থেকেই তিনি প্রস্তুত হচ্ছেন নিজের একটি কিডনি ছেলেকে দেবেন। নিজের সঙ্গে লড়াই করে জীবনের প্রথম পরীক্ষায় বসতে পেরেছে তীর্থঙ্কর। খুশি তার পরিবার ও প্রতিবেশীরা।
