Wednesday, May 14, 2025

রাহুল অরাজি, প্রিয়াঙ্কা রাজি না হলে ২২ বছর পর কংগ্রেস হবে ‘গান্ধী’-হীন, কণাদ দাশগুপ্তর কলম

Date:

কণাদ দাশগুপ্ত

আগামী এপ্রিলেই সম্ভবত বড় চমক ভারতের জাতীয় কংগ্রেসে৷

এপ্রিলেই কংগ্রেসের প্লেনারি সেশন হওয়ার সম্ভাবনা৷ এই অধিবেশনেই দলের নতুন সভাপতি নির্বাচন হবে৷ আর এখানেই নাকি অপেক্ষা করছে চমক৷

নিজের ঘনিষ্ঠ মহলে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেছেন, কংগ্রেসের সভাপতি পদে তিনি আর ফিরতে চান না৷ এই খবর কংগ্রেস সূত্রে৷ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি নিজের এই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যায় নাকি বলেছেন, একবার ইস্তফা দেওয়ার পর ফের সেই একই পদ গ্রহন করা যায় না৷ তাই তিনি আর দলের শীর্ষ পদে যেতে চান না৷
প্রসঙ্গত, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পর কংগ্রেস সভাপতির পদ ছাড়েন রাহুল গান্ধী। তাঁর জায়গায় অস্থায়ী ভাবে ওই পদের দায়িত্ব নেন সোনিয়া গান্ধী। শারীরিক কারনেই সোনিয়া কংগ্রেস সভানেত্রীর পদ ছাড়ার পরই ওই আসনে বসেন রাহুল গান্ধী৷ ইদানিং
সোনিয়া গান্ধীর স্বাস্থ্যের আরও অবনতি হয়েছে৷ অথচ বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দলের আরও সক্রিয় সভাপতির প্রয়োজন বলে মনে করছেন কংগ্রেসের একাধিক শীর্ষনেতা।
কংগ্রেসের যুব নেতৃত্বই মূলত এই প্রসঙ্গ সামনে নিয়ে এসেছে৷ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, শশী থারুরের মতো নেতারা তো প্রকাশ্যেই এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন৷ দাবিটি আরও জোরদার হয়েছে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস শূন্য হাতে ফেরার পর৷ তখন থেকেই এআইসিসির অন্দরে তীব্র জল্পনা শুরু হয়, ফের কংগ্রেসের হাল ধরতে রাহুল গান্ধী এগিয়ে আসবেন৷ কিন্তু রাহুল নিজেই সেই জল্পনায় জল ঢেলেছেন না বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে।

এদিকে এআইসিসি-র পাশাপাশি কংগ্রেসের প্রায় সর্বস্তরেই আওয়াজ উঠেছে, “প্রিয়াঙ্কা লাও, দল বাঁচাও”à§· দলের সুপ্রিম পদে উত্তর প্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দলের দায়িত্ব তুলে দিতে চাইছেন শীর্ষনেতারাও৷ প্রিয়াঙ্কার ক্ষেত্রে একটাই সমস্যা, তিনি সংসদের কোনও কক্ষেরই সদস্য নন৷ কংগ্রেসের মতো দলের সভাপতি যদি সাংসদ না হন, তাহলে দলের গুরুত্ব হ্রাস পাবে৷ সে কারনেই সম্ভবত সাংসদ না হওয়া পর্যন্ত
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দলের দায়িত্ব নেবেন না৷ রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা দু’জনের কেউই দায়িত্ব না নিলে আগামী এপ্রিলেই সম্ভবত দলের ৮৯-তম সভাপতির
দায়িত্ব নিতে পারেন গান্ধী-পরিবারের বাইরের কেউ৷ তেমন ঘটলে, ১৯৯১-৯৬ সালে পিভি নরসিমা রাও এবং ১৯৯৬- ৯৮ সালে সীতারাম কেশরী-র পর গান্ধী-পরিবার বহির্ভূত কেউ৷ তবে শেষমুহুর্ত পর্যন্ত চেষ্টা একটা চলবে গান্ধী পরিবারের হাতেই দলের রাশ রাখার৷ সেক্ষেত্রে নাম একটাই-
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী৷ সেটা অবশ্যই চমক৷ আবার গান্ধী-পরিবারের বাইরের কেউ এই পদে এলে সেটা হবে আরও বড় চমক৷

ফলে, এপ্রিলেই সম্ভবত বড় চমক ভারতের জাতীয় কংগ্রেসে৷

Related articles

ধান সংগ্রহে স্বচ্ছতা আনতে তিনস্তরের মনিটরিং কমিটি পুনর্গঠনের নির্দেশ রাজ্যের

কৃষকদের কাছ থেকে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে ধান সংগ্রহের প্রক্রিয়া আরও স্বচ্ছ এবং কার্যকর করতে তৎপর রাজ্য সরকার। এই...

ট্রাম্পের মধ্যস্থতা মেনে নেওয়া অপমানজনক: মত সৌগত রায়ের

আপাত সংঘর্ষ বিরতি ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। এই বিষয়ে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন তাঁর মধ্যস্থতায় এই বিরতি হয়েছে। এই...

তুর্কি বয়কটের ডাক RSS-এর, চিন-তুরস্কে দ্বিচারিতা ভারতের

ভারতীয় সেনার তরফে প্রেস বিবৃতিতে বড় করে তুলে ধরা হচ্ছে পাকিস্তানের শক্তির পিছনে চিন ও তুরস্কের ভূমিকা। একের...

সৃঞ্জয়ের বাড়িতে থাকা ল্যাপটপ নিতে মিথ্যে বলছেন বান্ধবী! কী বলছেন পারিবারিক বন্ধু ঝুমা

নেট মাধ্যমে বিস্ফোরক অভিযোগ। দিলীপ ঘোষের(Dilip Ghosh) স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের(Rinku Majumder) প্রথম পক্ষের সন্তান সৃঞ্জয় দাশগুপ্ত(Srinjoy Dashgupta) ওরফে...
Exit mobile version