Wednesday, November 12, 2025

‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’-এর সিংহভাগ টাকা কেন্দ্র খরচ করেছে প্রচারেই

Date:

কেন্দ্রের এই প্রকল্পের নাম, ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’! এই খাতে বরাদ্দ টাকা প্রকৃত প্রকল্পে নয়, সিংহভাগ অংশই খরচ হয়েছে স্রেফ প্রচার করতে। বাস্তবে কাজ হচ্ছে অনেক কম। সংসদে এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে একথা স্বীকার করেছে মোদি সরকার।

তৃণমূলের রাজ্যসভা সদস্য নাদিমুল হক জানতে চেয়েছিলেন, গত ৩ বছরে ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পে বরাদ্দ কত হয়েছে? প্রচারের পিছনেই বা খরচ হয়েছে কত?

এই প্রশ্নের লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি জানিয়েছেন, ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পে জেলাস্তরে চাহিদা কম। তাই বরাদ্দও কম হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ২০১৬ থেকে ২০১৯, তিনটি আর্থিক বছরে খরচ হয়েছে যথাক্রমে ৩২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা, ১৬৯ কোটি ১০ লক্ষ টাকা এবং ২৪৪ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা। আর এই টাকার মধ্যে মিডিয়ায় প্রচারের জন্য খরচ হয়েছে যথাক্রমে ২৯ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকা, ১৩৫ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা এবং ১৬০ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ এই প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থের কখনও ৯১ শতাংশ, কখনও ৮০ শতাংশের বেশি, আবার কখনও ৬৫ শতাংশ টাকা স্রেফ প্রচারের কাজেই খরচ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।

কন্যা সন্তানদের রক্ষা এবং তাদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্প চালু করেছে মোদি সরকার। কিন্তু এই প্রকল্পে প্রচারই সার, বাস্তব চিত্র মোটেই উল্লেখযোগ্য নয় বলেই ধরা পড়েছে কেন্দ্রের উত্তরেই৷

Related articles

আর্থিক দুনীতির গুরুতর অভিযোগ, রাজ্য ভলিবল সচিবের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন বিদ্রোহ

নজিরবিহীন কাণ্ড রাজ্য ভলিবলে(Volleyall)। সচিব পল্টু রায়চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন কর্তাদের একাংশ। অভিযোগ উঠেছে মঙ্গলবার পল্টুর অনুগামীরা...

ভারতকে সমীহ টেস্টের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের, স্পিন অস্ত্রেই জোর প্রোটিয়াদের

বর্তমানে টেস্টের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন(WTC) দক্ষিণ আফ্রিকা(South Africa)। কিন্তু ভারতে এসে গম্ভীরের দলকে হারানো যে কঠিন বিলক্ষণ জানে প্রোটিয়ারা।ভারতকে...

২০০৯-এ ডিলিমিটেশন হলে ২০০২-এর ভোটার তালিকা ধরে কেন SIR, কমিশনের সিদ্ধান্তে প্রশ্ন কল্যাণের 

নির্বাচন কমিশনের একের পর এক সিদ্ধান্তকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ও আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার...

এশিয়ার প্রথম মহিলা হিসেবে ডি-লিট মমতাকে, জানাল ওকায়ামা বিশ্ববিদ্যালয়

বাংলার মুকুটে গৌরবের পালক। এশিয়ার প্রথম মহিলা হিসেবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) সাম্মানিক ডিলিট দেওয়া হল।...
Exit mobile version