আইন মানাতে কোচবিহারে লাঠি ধরলেন মহকুমা শাসক

করোনা সংক্রমণ আটকাতে কোচবিহারে একদিকে যেমন প্রশাসনিক তৎপরতা রয়েছে, তেমনই আছেন উদাসীন বাসিন্দারা। লকডাউনের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হলেও সাধারণ মানুষ নির্বিকার। সকাল হতেই কোচবিহারের বিভিন্ন বাজারে দেখা যাচ্ছে উপচে পড়া ভিড়। কোন কারণ ছাড়াই একটি বাজারের ব্যাগ হাতে নিয়ে বাজারে প্রবেশ করতে দেখা যাচ্ছে। বাজারে অবস্থিত চায়ের দোকান, পানের দোকানের সামনে ভিড় অব্যাহত। এই পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করার জন্য বুধবার রীতিমতো মারমুখী হয়ে ওঠে প্রশাসন। সকাল ১১ টায় কোচবিহার সদর মহকুমা শাসক সঞ্জয় পাল বাজারে গিয়ে নির্দেশ জারি করেন, বারোটার মধ্যে বন্ধ করতে হবে বাজার। কিন্তু সেই নির্দেশ সম্পূর্ণ অমান্য করে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বাজার খোলা রাখা হয়। পরবর্তীতে বাজারে পৌঁছে কোচবিহার জেলার ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সমীর পাল সহ বিরাট পুলিশ বাহিনী। অনেকক্ষণ ধরে বোঝানোর পরেও সাধারণ মানুষ তাদের জেদ ধরে রাখার কারণে বাধ্য হয়ে লাঠি চালাতে হয় পুলিশকে। এদিন লাঠি হাতে দেখা যায় মহকুমাশাসককেও। সঞ্জয় পাল বলেন, সাধারণ মানুষের অজ্ঞানতা কোচবিহারের ধ্বংসের কারণ হয়ে না দাঁড়ায় সেই কারণেই কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে। সরকারি নির্দেশ অমান্য করলে কঠোর আইনী ব্যবস্থার প্রয়োগ করা হবে। বাজারের ভিড় নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সকাল ৭ টা থেকে দুপুর ১১ টা পর্যন্ত সকলের বাজার খোলা থাকছে।

এর পাশাপাশি বুধবার, সকালে কোচবিহারের প্রতিটি ওষুধের দোকান, এটিএম কাউন্টার, ভবানীগঞ্জ বাজারে চুন দিয়ে গুন্ডি কেটে দিল কোচবিহার জেলা প্রশাসন। কোচবিহার পুরসভার তত্ত্বাবধানেই এই কাজ করা হয়। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গণ্ডির বাইরে কেউ ক্রেতা দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। বিক্রেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গণ্ডির বাইরে থাকা কোন ক্রেতাকে যেন সামগ্রী না দেওয়া হয়। কোন দোকানের সামনে জটলা হলে সেই দোকানদারের ফাইন হবে। এটিএম কাউন্টার গলিতে একের বেশি ব্যক্তি প্রবেশে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কোচবিহার জেলা প্রশাসন।

Previous articleকরোনায় সতর্কবার্তা বিরুষ্কার
Next articleবলুন তো কোথাকার ছবি?