লকডাউনের ধাক্কায় ওষুধে টান, প্রশাসনিক নজর জরুরি

নীরবে এক বড় সমস্যা তৈরি হচ্ছে রাজ্যে৷

করোনা-সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন৷ আর এই লকডাউনের ধাক্কা বেশি পড়ছে ওষুধের দোকানে৷
বন্ধ বেশির ভাগ ওষুধের দোকান। হাতেগোনা যা খোলা, সেগুলিতে বিধি মেনে লাইনে দাঁড়িয়েও প্রয়োজনীয় ওষুধ পাচ্ছেন না ক্রেতারা। লকডাউনের আওতায় ওষুধের দোকান নেই। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে সেকথা৷ কিন্তু শহরের বিভিন্ন হাসপাতাল সংলগ্ন বহু ওষুধের দোকানই বন্ধ। বন্ধ পাড়ার বহু দোকান৷

ওষুধ ব্যবসায়ীদের একাংশের অভিমত,

◾ করোনার কোনও ওষুধ নেই। সেটা থাকলে দোকান বন্ধ থাকার ছবিটাই ঠিক উল্টো হতে পারত।

◾সংক্রমণ এড়ানোর সরঞ্জাম, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা থাকলেও জোগান নেই।

◾যাঁরা ওষুধের দোকান চালান, সেই কর্মীরা ট্রেনও বাস বন্ধ থাকার জন্য আসতে পারছেন না।

◾হাসপাতালের আউটডোরেও রোগী নেই। নতুন করে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যাও হাতে গোনা।

◾এই অবস্থায় দোকান খোলা রাখার কোনও মানে হয় না বলেই মনে করছেন ব্যবসায়ীরা৷

◾অনেকে দোকান খোলা রাখলেও কর্মীর অভাবে দোকানের সময়সীমা কমিয়ে এনেছেন।

◾আরজি কর হাসপাতালের কাছাকাছি ২০-২২টি ওষুধের দোকান আছে। অর্ধেকের বেশি দোকান বন্ধ। যে ক’টি দোকান খোলা, সেখানেও তেমন ভিড় নেই। খোলা থাকা দোকান-মালিকের বক্তব্য, লকডাউনে ৮০% বিক্রি কমে গিয়েছে। বাধ্য হয়েই এখন রাত ৮টার মধ্যে দোকান বন্ধ করা হচ্ছে

◾ এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনেও এক অবস্থা। বেশির ভাগ দোকানই বন্ধ। যে ক’টি দোকান খোলা রয়েছে, তাদের বক্তব্য, নতুন প্রেসক্রিপশন নিয়ে প্রায় কেউই আসছেন না। কর্মচারীরা আসতে পারছেন না বলে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকান খোলা, তারপরই বন্ধ৷

◾এসএসকেএম হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় নামী চেনের দোকানগুলো খোলা থাকলেও বেশির ভাগ ছোট দোকানই বন্ধ। বড় দোকানেও ৪০% বিক্রি কমে গিয়েছে।

Previous articleকরোনা চিকিৎসার জন্য রাজ্যকে বৃহত্তম ক্যাম্পাস দিতে চাইল অ্যাডামাস
Next articleকরোনার ছোবলে বিধ্বস্ত আমেরিকা। আক্রান্ত ১ লক্ষ ৪ হাজার, মৃত্যু ১৭০০