ফাঁসি হল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের অন্যতম হত্যাকারী বাংলাদেশের বহিষ্কৃত সেনা আধিকারিক আবদুল মাজেদের। রবিবার মধ্যরাত ১২টা ১ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারেই এই ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।

এর আগে ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি সৈয়দ ফারুক রহমান, বজলুল হুদা, এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান ও মুহিউদ্দিন আহমেদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ খুনি এখনও পলাতক। এদের মধ্যে এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী কানাডায় ও এ এম রাশেদ চৌধুরী আমেরিকায় রয়েছে। অন্য তিনজন খন্দকার আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও মোসলেম উদ্দিন কোথায় গা ঢাকা দিয়ে আছে সে সম্পর্কে বাংলাদেশ সরকারের কাছে সঠিক কোনও তথ্য নেই। এ ছাড়া ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আরেক আসামি আজিজ পাশা ২০০২ সালে পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যায়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার হত্যার পর অন্য সব খুনির সঙ্গে আবদুল মাজেদ প্রথমে লিবিয়ায় চলে যায়। এরপর তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান তাকে সেনেগাল দূতাবাসে চাকরি দেন। ১৯৮০ সালে দেশে ফিরে আসার পর তিনি বিআইডব্লিউটিসিতে যোগ দেয়। সে সময় উপসচিব পদমর্যাদায় সে চাকরি পায়। পরে যুব উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ে পরিচালক পদে যোগ দেয়।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার শুরু হয়। সে সময় আত্মগোপনে চলে যায় মাজেদ। তার স্ত্রী ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট আবাসিক এলাকায় থাকেন। মাজেদের চার মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তার গ্রামের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিনে।
