আজ, পয়লা বৈশাখে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সকল রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানালেন। একইসঙ্গে সংবিধান রূপকার বি আর আম্বেদকর-এর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করলেন তিনি। দিলীপ ঘোষ আশাবাদী, নতুন বছর হতাশা কাটিয়ে আগামী দিনে করোনা মুক্ত হবে দেশ। নতুন উদ্যমে দেশ এগিয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতির উদ্দেশে আজ যে ভাষণ দিয়েছেন এবং লকডাউনের দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩ মে পর্যন্ত করার যে ঘোষণা মোদি করেছেন তাতে দেশের মঙ্গলে একেবারে সঠিক সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেন দিলীপ ঘোষ।

তিনি বলেন, “এখন যে পরিস্থিতি, তাতে এটাই প্রযোজ্য ছিল। এবং সেই কথা মাথায় রেখে সারা দেশে লকডাউন-এর সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। ২০ তারিখ পর্যন্ত কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে দেশ যাবে এবং তার পরের দিনগুলিতে পর্যালোচনা করে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সেটাও প্রধানমন্ত্রী বললেন এবং সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে”।

তবে এদিনও রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, রাজ্যে লকডাউন-এর প্রয়োজনীয়তা যে কী অনেকেই সেটা বুঝতে পারছে না। এখানে লকডাউন কিছুই কার্যকর করা হচ্ছে না, বিশেষ করে কিছু কিছু ক্ষেত্রে জনপরিষেবা চালু করা হয়েছে। যেমন, ফুলের মার্কেট খুলে দিয়ে ভুল করেছে রাজ্য সরকার। কেননা এই মুহূর্তে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান সবকিছুই বন্ধ। সেখানে ফুলের মার্কেট খুলে লাভ কী? বিক্রেতাদের লোকসান হবে বলেও দাবি করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।

রাজ্যের কিছু সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে মানুষ যথেষ্ট পরিষেবা পাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় থেকে
কোয়ারেন্টাইন সেন্টার নিয়ে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে বলেও দাবি করেন দিলীপ ঘোষ। যে মানুষগুলো এই সেন্টারে থাকছে তারা বিভিন্ন সময়ে বাইরে চলে যাচ্ছে। তার গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে বলেও মনে করেন তিনি।

এরপর রাজ্যের রেশনিং ব্যবস্থা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলে দিয়ে বলেন, কেন্দ্র একটি প্রকল্প ঘোষণা করছে, রাজ্যে সেটা এসে অন্যমাত্রা পাচ্ছে। এবং রাজ্যের সমস্ত মানুষের ঘরে ঘরে যাতে রেশন পৌঁছে যায় সেদিকেও নজর দেওয়ার কথা বলেন তিনি।

এখানেই শেষ নয়। রাজ্য বিজেপি সভাপতি অভিযোগের সুরে বলেন, কেন্দ্র থেকে প্রচুর কিট আসা সত্ত্বেও এখনও সেইভাবে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা হচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে যা পরীক্ষা করা হয়েছে অন্যান্য রাজ্যের থেকে তা খুবই কম।
