প্রায় তলানিতে ঠেকে যাওয়া দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে বড়সড় প্ৰশাসনিক রদবদল ঘটালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি৷

রবিবার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই আইএএস স্তরে ঢালাও রদবদল করা হলো। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার নিয়োগ কমিটির বৈঠকে আমলাস্তরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রদবদলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল,

◾প্রধানমন্ত্রীর দফতর বা PMO- দুই আধিকারিককে দুটি বড় দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

◾PMO-র অতিরিক্ত সচিব গুজরাত ক্যাডারের অফিসার এ কে শর্মাকে মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্প মন্ত্রকের সচিব করা হয়েছে।

◾প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আর এক অতিরিক্ত সচিব তরুণ বাজাজ নতুন আর্থিক বিষয়ক সচিব বা ইকনমিক সেক্রেটারি-র দায়িত্ব পাচ্ছেন। তিনি অতনু চক্রবর্তীর জায়গায় এলেন। বর্তমান আর্থিক বিষয়ক সচিব অতনু চক্রবর্তীরও ৩০ এপ্রিল অবসর নেওয়ার কথা। অনেকেই ভেবেছিলেন, প্রীতি সুদানের মতো গুজরাত ক্যাডারের এই বঙ্গসন্তানের অবসরের মেয়াদও বাড়ানো হবে। কিন্তু তা হয়নি।
◾করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যে আন্তর্মন্ত্রক কেন্দ্রীয় দলটি পশ্চিমবঙ্গে ঘুরছে, তার কলকাতার দলটির নেতৃত্বে থাকা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব অপূর্ব চন্দ্রের পদোন্নতি ঘটিয়ে ওই মন্ত্রকেরই বিশেষ সচিব করা হয়েছে৷

◾পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের আমলা ইন্দিবর পাণ্ডেরও পদোন্নতি হয়েছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব থেকে বিশেষ সচিব হয়েছেন তিনি।

◾করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামাল দিচ্ছেন তিনি, তাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব প্রীতি সুদানের আগামী ৩০ এপ্রিল অবসর নেওয়ার কথা থাকলেও তাঁকে আরও ৩ মাস ওই পদে রেখে দেওয়া হল।

◾শিক্ষা ক্ষেত্রের আইএএস স্তরেও রদবদল হয়েছে। করোনার জেরে গোটা দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা কার্যত বিপর্যস্ত। একাধিক বোর্ডের পরীক্ষা শেষ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে গুজরাত ক্যাডারের আইএএস অনিতা কারওয়ালকে CBSE-র চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রকের স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব করা হল।

বিশেষজ্ঞদের অনেকেরই ধারনা, দেশের মাঝারি ও ছোট শিল্পের অন্তত ৩০ শতাংশ করোনা পরবর্তী সময়ে অস্তিত্ব রক্ষা করতে পারবে না। অথচ দেশের জিডিপির এক তৃতীয়াশই আসে এই ক্ষেত্র থেকে। রফতানি বাবদ অর্থের ৫০ শতাংশ আনে এই ক্ষেত্রেই। অতএব এই ক্ষেত্রটিকে কী ভাবে শক্ত করা যায়, তার সঠিক পরিকল্পনা করাই এই মুহূর্তে লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রীর।

