ভাইরাস, না দেবতার গ্রাস? কুণাল ঘোষের কলম

কুণাল ঘোষ

মৃত্যুমিছিল।

অদ্ভুত এক কালো মেঘের ছায়া। দুর্গন্ধ। বুকফাটা কান্না। উদ্বেগ আর আশঙ্কার ঘূর্ণি।
বিশ্বজুড়ে সংখ্যা বাড়ছে। ভাইরাস, নাকি দেবতার গ্রাস? বিপদ চৌকাঠ পার হয়ে ঢুকছে, যতই কাপড় ঢাকা দিয়ে রাখি না কেন।

তারমধ্যেই চলে যাচ্ছেন ভালোলাগা, ভালোবাসার পরিচিত মুখগুলো। অপরিচিতরাও। ইরফান খান, ঋষি কাপুর, চুণী গোস্বামী। তেলেঙ্গানা থেকে হেঁটে ছত্তিশগড়ের বাড়িতে ফিরতে গিয়ে রাস্তায় প্রাণ হারিয়েছে কর্মচ্যুত, অন্নহারা বালিকা পরিযায়ী শ্রমিক জামলো মাকদাম। কৈশোর, যৌবন, অতীত, বর্তমান , সব তছনছ। ভবিষ্যতের সুতো সর্বশক্তিমান সময়ের তর্জনীর ইচ্ছাধীন। নিষ্ঠুর এপ্রিল এবার মে-কে কী মন্ত্র দিয়ে যাচ্ছে কে জানে!

পৃথিবীর বুকে কি নেমে আসছে নরক? ব্রাজিল থেকে অস্ট্রেলিয়া, জ্বলছে বনাঞ্চল। পুবের দেশে সুনামির ভ্রুকুটি, তো অন্য কোথাও ভূমিকম্প। কোথাও গলছে হিমবাহ; কোথাও শুকিয়ে যাচ্ছে নদী।

তার মধ্যে এই ভাইরাস।
এ কি প্রকৃতির ইচ্ছে, না মানবসভ্যতার আত্মঘাতী অগ্রগতি! আমরা আমাদের প্রবল উত্তরণের গতিপ্রকৃতির মালুম পাইনি।
ধোঁয়ার কুন্ডলী আজ ঝাপসা করে দিচ্ছে দৃষ্টি।
তবু, এর মধ্যেও বেঁচে থাকার আর বাঁচিয়ে রাখার লড়াই চলছে, চলবে।
আর এই সর্বনাশা মাতন থেকে শিখেই নেওয়া যাক, বাঁচতে গেলে ঠিক কতটুকু প্রয়োজন। নতুন পৃথিবীতে মিলেমিশে থাকতে কাজে লাগবে।

Previous articleগদি বাঁচাতে মোদির শরণাপন্ন উদ্ধব!
Next articleলকডাউনের জেরে কর্মীদের বেতন কাটছাঁট করছে রিলায়েন্স গোষ্ঠী