পুলিশ পিটিয়েছে। বিরাট অন্যায় করেছে। যা ক্ষমার অযোগ্য। এখন দিন কাটছে শ্রীঘরে। সে আবার বাড়ির একমাত্র রোজগেরে ছেলে। আর লকডাউনে ছেলের কু-কর্মের ফল ভুগতে হচ্ছে পরিবারের অন্য সদস্যদের। তার পরিবার যে চরম সঙ্কটে রয়েছে, সেটা কানে গেছে পুলিশের। তাই ছেলের অন্যায়ের ভাগীদার যাতে বাড়ির আর কেউ না হয়, বাড়ির আর কেউ যাতে অভুক্ত না থাকে জন্য ফের মানবিক মুখ দেখা গেল পুলিশের।

হ্যাঁ, এবার টিকিয়াপাড়ায় পুলিশকে মারধরের ঘটনায় ধৃত সাকিরের পরিবারের পাশে দাঁড়াল হাওড়া সিটি পুলিশ। প্রয়োজনীয় ত্রাণ-সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হল সাকিরের বাড়িতে। আপাতত পর্যাপ্ত পরিমাণে চাল, ডাল, আলু, আটা তুলে দেওয়া হয়েছে সাকিরের পরিবারের সদস্যদের হাতে।
অথচ, লকডাউনের শর্ত ভাঙায় টিকিয়াপাড়ায় পুলিশ অভিযান চালালে এই সাকিরই ভিড় ঠেলে গিয়ে এক পুলিশকর্মীকে পিছন থেকে লাথি মারে। যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছিল।

উল্লেখ্য, লকডাউনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কয়েকদিন আগে টিকিয়াপাড়ার বেলিলিয়াস রোড চত্বর ছিল যেন উৎসবের ছুটির মেজাজে। ফাঁকা রাস্তায় ক্রিকেট খেলা থেকে শুরু করে, রাস্তার পাশের দোকানে বিরিয়ানি খাওয়া। সঙ্গে দেদার আড্ডাও চলছিল রমরমিয়ে। যেন কিছুই হয়নি। করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করেই রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত হাওড়ার জেলার টিকিয়াপাড়ায় অভিযানে যায় পুলিশ।

টহলদারির সময়েই কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়ায় জনতা। লকডাউনের নিয়ম মানতে বলায় উত্তেজনা চরমে ওঠে। পুলিশকে তাড়া করে স্থানীয়দের একটা বড় অংশ।

এরই মধ্যে ভিড় ঠেলে এসে পিছন থেকে এক পুলিশকর্মীকে সপাটে লাথি মারতে দেখা যায় এক যুবককে। গন্ডগোলের মুহূর্তের ফুটেজ খতিয়ে দেখার পরে পুলিশকে লাথি মারার ঘটনায় স্থানীয় যুবক সাকির-সহ প্রায় ১৮ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
