ফুলবাগানে অবৈধভাবে করোনা টেস্ট চালানো ল্যাবরেটরি মালিকের পুলিশ হেফাজত

ICMR অনুমতি ও স্বীকৃতি ছাড়াই দিনে দুপুরে অবৈধভাবে ফুলবাগানের সিআইটি রোডের একটি ল্যাবরেটরিতে রমরমিয়ে কোভিড–১৯ টেস্ট চলছিল। এমন অভিযোগ পাওয়ার পরই ওই ল্যাবরেটরিটিকে সিল করার নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য দফতর। একইসঙ্গে ১০ লক্ষ টাকা জরিমানাও করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্ট্যাব্লিশমেন্ট অ্যাক্টে। ফুলবাগান থানায় এফআইআরও করা হয়।

এরপর ওই ল্যাবরেটরির কর্ণধার ডাঃ রতনলাল গুপ্তাকে গ্রেফতার করে ফুলবাগান থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁকে শিয়ালদহ কোর্টে তোলা হলে সরকারি আইনজীবী অরূপ চক্রবর্তীর আবেদনে সাড়া দিয়ে আদালত রতনলাল গুপ্তাকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

সরকারি আইনজীবী অরূপ চক্রবর্তী জানান, “কোভিড-১৯ টেস্টের মতো এমন একটি স্পর্শকাতর এবং ভয়ঙ্কর বিদয় নিয়ে ডাঃ রতনলাল গুপ্তা অবৈধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিলেন। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ আমরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত বাকিদেরও ধরতে চাই। তাই আদালতের কাছে পুলিশ হেফাজত চেয়েছিলাম। আদালত সেই প্রার্থনায় সাড়া দিয়ে আগামী ১১ মে পর্যন্ত ডাঃ রতনলাল গুপ্তাকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে”।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ওয়েবসাইটে একটি তথ্য প্রকাশ করে জানিয়েছে , ICMR স্বীকৃত ল্যাবরেটরি এবং চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোভিড–১৯ পরীক্ষা করা যাবে না। এ রাজ্যে স্বীকৃত সরকারি ১১টি ও বেসরকারি ৬টি ল্যাবরেটরির তালিকা এদিন ফের প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য ভবন।

সরকারি ল্যাবরেটরিগুলি হল নাইসেড, এসএসকেএম, মেদিনীপুর, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল, মালদা মেডিক্যাল, কমান্ড হাসপাতাল, আর জি কর, মুর্শিদাবাদ, বর্ধমান মেডিক্যাল এবং রাজারহাট চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস। বেসরকারি ল্যাবরেটরিগুলি হল অ্যাপোলো, টাটা মেডিক্যাল সেন্টার, পিয়ারলেস, আমরি, সুরক্ষা ও ডাঃ লাল প্যাথ ল্যাব। ‌‌যেখানে ফুলবাগান সিআইটি রোডে ডাঃ রতনলাল গুপ্তার ল্যাবরেটরি নাম নেই।

Previous articleআজকাল: আত্মাহুতির হুমকি নেতার, সত্যমের পাশে অশোক দাশগুপ্ত
Next articleপিতৃহারা সায়ন্তন