Tuesday, August 26, 2025

বাজারপ্রিয় বাঙালি এবার সাবধান হন । না হলে কিন্তু সামনে সমূহ বিপদ। হ্যাঁ, তামিলনাড়ুর পরিস্থিতি জানার পর এটাই অগ্রাধিকার হওয়া উচিত ।
এক মাস আগে দেশে করোনাভাইরাসের সবচেয়ে বড়ো হটস্পট হয়ে উঠেছিল দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকজের জমায়েত। সেই জমায়েতে অংশগ্রহণকারী এবং তাঁদের সংস্পর্শে আসা অসংখ্য মানুষ করোনায় আক্রান্ত হন।
কিন্তু মাস পেরোতেই পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। এ বার সেই জায়গা দখল করেছে চেন্নাইয়ের বৃহত্তম পাইকারি বাজার। এখন ভারতের মধ্যে করোনাভাইরাসের সব থেকে বড়ো হটস্পট এটি।
যদিও দিন পনেরো আগেই তামিলনাড়ুর করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এমন ছিল না। মোট আক্রান্ত হাজার দুয়েক হলেও সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫০ শতাংশেরও বেশি।
কিন্তু আচমকা পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নিয়েছে। দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। প্রথম দিকে দিনে গড়ে ১০০-১৫০ জন আক্রান্ত হলেও হঠাৎই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দিনে গড়ে ৫০০-এর বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় সেই সংখ্যাটা আরও বেড়ে নতুন করে ৭৭১ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন এই রাজ্যে।
জানা গিয়েছে,গত কয়েক দিনে নতুন করে প্রায় ২৫০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই চেন্নাইয়ে। আর চেন্নাইয়ের পার্শ্ববর্তী যে সব জেলাগুলিতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে, তার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঘটনার সূত্রপাত কোয়ামবেডু পাইকারি বাজার। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম এই পাইকারি বাজারই এখন দেশে নতুন করোনা হটস্পট হিসাবে খবরের শিরোনামে । নতুন করে যে ৭৭১ জন আক্রান্ত হয়েছেন, সবার সঙ্গেই এই পাইকারি বাজারের সম্পর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওই পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরাই প্রথমে করোনায় আক্রান্ত হন। তাদের যুক্তি, এই পাইকারি বাজারে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত, বিশেষত মহারাষ্ট্র থেকে প্রচুর ট্রাক আসে। সম্ভবত ট্রাকের চালক এবং খালাসিদের সংস্পর্শে এসেই ব্যবসায়ীরা আক্রান্ত হয়েছেন। এর পর সেটা সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
কারণ হিসেবে যে তথ্য সামনে এসেছে, তার সঙ্গে এ রাজ্যের শহর কলকাতার অনেক সাদৃশ্য আছে । লকডাউনের মধ্যেও চেন্নাইয়ের এই বাজার নিজের জায়গাতেই খোলা ছিল। ২৯৫ একর জমিতে ৩ হাজার দোকান রয়েছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, মঙ্গলবার বাজারটি স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। পাইকারি বাজারটিকে এখন নিজের জায়গা থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে একটি বড়ো জায়গায় সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে এখন মাত্র ২০০টি দোকান বসছে।
বিশেষজ্ঞরা গোটা ঘটনার জন্য প্রশাসনের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন ।
যদিও প্রশাসনের যুক্তি, পাইকারি বাজার কোনও ভাবেই বন্ধ করা সম্ভব নয় । তা হলে খাদ্যসঙ্কট দেখা দেবে চেন্নাই তথা গোটা তামিলনাড়ুতে। কিন্তু আগে থেকেই সতর্ক হয়ে বাজারটাকে যদি সরিয়ে দেওয়া হত, তা হলে পরিস্থিতি এতটা সঙ্কটজনক হত না। এখন প্রশ্ন কলকাতা তথা রাজ্যের বাজারপ্রিয় বাঙালির চোখ কী খুলবে? ,

Related articles

ভয় পেয়েই কুকথা শান্তনুর! ফাঁস মতুয়াদের নিয়ে নোংরা রাজনীতি

মতুয়াদের নিয়ে রাজনীতি করতে মাঠে নেমেছিলেন খোদ নরেন্দ্র মোদি। ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে আধিপত্য কায়েমে বিজেপির নোংরা রাজনীতি দীর্ঘদিনের। ঠাকুরবাড়ির...

নীরবে প্রস্তুতি শামির, দলীপ দিয়েই কামব্যাকের লড়াই

কয়েকদিন আগে এশিয়া কাপের(Asia Cup) দল ঘোষণা হয়েছে। সেখানে সুযোগ পাননি মহম্মদ সামি(Mohammed Shami)। ভারতীয় দলে তিনি ফিরবেন...

রবি ঠাকুরের ‘কঙ্কাল’ থেকে ‘কনকচাপা’: পার্থর নাটক দেখতে ভিড় জিডি বিড়লা সভাঘরে

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য ভাণ্ডার অবলম্বনে একের পর এক নাটক তৈরি হয়েছে— শারদোৎসব, রাজা, ডাকঘর, অচলায়তন, ফাল্গুনী, রক্তকরবী আজও...

২৮ অগাস্ট পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি অধ্যক্ষদের, চিঠি মুখ্যমন্ত্রী -শিক্ষামন্ত্রীকেও

তৃণমূল ছাত্রপরিষদের (টিএমসিপি) প্রতিষ্ঠা দিবসকে ঘিরে ফের সরগরম হয়ে উঠল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। আগামী ২৮ অগাস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলিতে...
Exit mobile version