Friday, November 28, 2025

রাজ্যের করোনা-যুদ্ধে কোনও গঠনমূলক পরামর্শ ছাড়াই ফের টুইট যুদ্ধে রাজ্যপাল

Date:

Share post:

শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী দলের জেলার নেতাদের বলেছেন, ‘রেশন নিয়ে ‘বেয়াদপি’ বরদাস্ত করা হবে না৷’ বিরোধীদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচারে নামতে জেলা সভাপতিদের নির্দেশও দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

ওদিকে, শুক্রবারই রাজ্য বিজেপি’র নেতারা ফের রাজ্যপালের কাছে গিয়ে অনেক নালিশ জানিয়ে এসেছেন৷

বিজেপি’র দেওয়া ‘তথ্য’ হাতে পেয়ে তাই আর দেরি না করে শনিবার সকাল সকালই ফের টুইট-যুদ্ধে নেমে পড়লেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷

এদিন টুইট করে ফের রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা নিয়ে সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের রেশন ব্যবস্থাকে রাজনীতি মুক্ত করার আবেদন জানিয়ে টুইট করেছেন তিনি৷ বাংলাতেই পরপর দুটি টুইট করেন রাজ্যপাল৷

প্রথমটিতে বলেছেন,
“আপনার রাজ্যপাল
আপনার সেবক
প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার মাধ্যমে 4,78,000 মেট্রিক টন চাল বিনামূল্যে কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গকে দিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় সরকার বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছেন: জনপ্রতি মাসিক 5 কেজি চাল এবং পরিবারপ্রতি মাসিক 1 কেজি ডাল৷”

দ্বিতীয় টুইটে বলেছেন,

“আপনার রাজ্যপাল
আপনার সেবক
পিডিএসকে রাজনীতির বন্ধন থেকে মুক্ত করতে হবে;আধিকারিকদের অরাজনৈতিকভাবে কাজ করতে হবে; অবৈধ মজুতদারদের আটকাতে এবং কালোবাজারি হাঙ্গরদের তাড়াতে হবে;
গরিব মানুষ যাতে সঠিক মাত্রায় সঠিক গুনমানের রেশন বিনামূল্যে ন্যায্যভাবে পান তা নিশ্চিত করুন৷”

রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা নিয়ে গত সপ্তাহ থেকেই একের পর এক এক টুইট করে চলেছেন রাজ্যপাল৷
রেশন ব্যবস্থা নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতেও রেশন ব্যবস্থাকে রাজনীতিমুক্ত করার কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল।

প্রশাসনের তরফে এ সব টুইটের উত্তর দেওয়া হয়নি৷ বরং রাজ্যপাল তথা বিজেপিকে কার্যত সতর্ক করে শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের জেলার নেতাদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ধরনের প্রচারের প্রতিবাদে পাল্টা পথে নামার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন,”রেশন নিয়ে বিজেপি পরিকল্পিতভাবে ‘ভুল’ বোঝাচ্ছে৷ ঠিক বোঝানোর জন্য এখনই দলীয় নেতাদের সক্রিয় হতে হবে৷ করোনা- সংকটকালে বিজেপি নেতারা রাজ্যের মানুষের জন্য কিছুই করতে পারেননি এবং তাঁরা জনসাধারণের থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছেন৷ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলেই বিজেপি এখন রেশন নিয়ে ‘মিথ্যা প্রচার’ চালিয়ে সরকারকে হেয় করতে চাইছে, সে চেষ্টা সফল হতে দিলে চলবে না৷ জোরদার প্রচারে নেমে বলতে হবে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারই সবচেয়ে ভাল মানের চাল দিচ্ছে৷ রাজ্য সরকারই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে রেশন দিচ্ছে এবং কেন্দ্র কিছুই দেয়নি৷”

রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী দলীয় নেতাদের এ ধরনের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে এখনই প্রচারে নামার নির্দেশ দেওয়ায় বিজেপি এবং রাজ্যপাল কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে৷ তাই ‘চাপ’ কাটাতে রাত কাটতেই রাজ্যপালের এই টুইট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ৷ রাজ্যপাল ফের টুইট অথবা পত্রযুদ্ধের পথেই নামতে পারেন বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারনা৷

spot_img

Related articles

রাতের অন্ধকারে চমক! সহকারী সভাধিপতির গাড়ির সামনে পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ 

অন্ধকার ভেদ করে চমকে দিল সরাসরি চিতাবাঘ! ফাঁসিদেওয়া ব্লকের মাদাতি চা বাগানের বালাসন ডিভিশনে সরকারি কাজ সেরে ফেরার...

হাওড়ায় দুষ্কৃতী হামলা: গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে পঞ্চায়েত প্রধান

তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের উপর গুলি চালানোর ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে আতঙ্ক ছড়ালো হাওড়ার সাঁপুইপাড়া বসুকাঠি পঞ্চায়েত (panchayat) এলাকায়। গুরুতর...

সংখ্যালঘু কমিশনের ভাইস–চেয়ারম্যান পদে জন বার্লা 

রাজ্যের সংখ্যালঘু কমিশনে নতুন দায়িত্ব পেলেন প্রাক্তন সাংসদ জন বার্লা। বৃহস্পতিবার সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতর থেকে প্রকাশিত নির্দেশিকায় জানানো...

মুম্বই নির্বাচনের আগে ১১ লক্ষ ডুপ্লিকেট ভোটার! বিজেপির বিরাট কারচুপির পর্দাফাঁস

বাণিজ্যনগরীর পুরনিগমের নির্বাচন। আর তার আগে খসড়া ভোটার তালিকা তৈরি হতেই ধরা পড়ে গেল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে হাত...