ফের উত্তেজনা ছড়াল হুগলির তেলিনিপাড়ায়। একইসঙ্গে মঙ্গলবার সংঘর্ষ ছড়িয়েছে ভদ্রেশ্বর ও চন্দননগরে। তিনদিন ধরে লাগাম ছাড়া গোষ্ঠী সংঘর্ষে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কোরোনা মোকাবিলায় ব্যারিকেট দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঝামেলার সূত্রপাত। বচসা থেকে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়ায়। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে যায় চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ বাহিনী।
তিন ধরে অব্যাহত গোষ্ঠী সংঘর্ষ।
কোয়ারেন্টাইন যাওয়াকে কেন্দ্র করে রবিবার ভদ্রেশ্বর- তেলিনিপাড়ায় গোষ্ঠী সংঘর্ষ হয়। গাড়ি-বাড়ি-দোকান ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ বাহিনী যায়। কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়া হয়। সোমবার এলাকা শান্ত করতে চলে রুট মার্চ। পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
কিন্তু তাতে সামাল দেওয়া যায়নি। এদিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় বোমাবাজি। তেলিনিপাড়া ছাড়িয়ে ভদ্রেশ্বর গেট বাজার, চন্দননগরের গোন্দোলপাড়া 26 নম্বর ওয়ার্ড-সহ একাধিক জায়গায় বোমাবাজি হয়। স্থানীয় মানুষ পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান।
ঘটনায় আহত বেশ কয়েকজন। তাঁদের চন্দননগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চন্দননগরের কমিশনার হুমায়ন কবিরের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়।