প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘোষিত ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজের পরবর্তী চতুর্থ পর্যায়ের ঘোষণা হল শনিবার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এই বিষয়ে ঘোষণা করেন। করোনা পরিস্থিতিতে আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের অঙ্গ হিসাবে বুধবার মাইক্রো-স্মল-মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ নিয়ে প্যাকেজ, বৃহস্পতিবার পরিযায়ী শ্রমিক, হকার ও প্রান্তিক কৃষকদের প্যাকেজ এবং শুক্রবার কৃষি, পশুপালন, উদ্যানপালন, মৎস্যচাষ, দুগ্ধশিল্প ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সম্পর্কে একগুচ্ছ ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। কয়লা, খনি, বিমান পরিবহন সহ একাধিক ক্ষেত্রে সংস্কার ও সুবিধার বিষয়ে শনিবার অর্থমন্ত্রী যা জানান:

মেক ইন ইন্ডিয়া প্রকল্পে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। তিন বছর আগে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের মাধ্যমে ‘আত্মনির্ভর ভারত’ কর্মসূচি আরও শক্তিশালী হবে।
কয়লা, খনি, বিমান পরিবহন, প্রতিরক্ষা, বিদ্যুৎ বণ্টন, সৌর বিদ্যুৎ, পারমাণবিক শক্তি ও মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার ও প্যাকেজ। পরিকাঠামো উন্নয়নে তহবিল গঠন।

দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ কয়লা মজুত রয়েছে। ভারতে আছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম কয়লার ভাণ্ডার। কয়লা উত্তোলন ও খনির পরিকাঠামো উন্নয়নে ৫০ হাজার কোটি বরাদ্দ। বেসরকারি সংস্থাকে কয়লা তোলার অনুমতি। কয়লা ব্লক নিলামে বেসরকারি সংস্থার অংশগ্রহণ। কয়লা থেকে গ্যাস তৈরির জন্য ইনসেনটিভ দেওয়া হবে।

ক্যাভটিভ ও নন-ক্যাপটিভ খনির পার্থক্য থাকবে না। শিল্প সংস্থাগুলি যাতে দ্রুত প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থের জোগান পায় তার ব্যবস্থা। খনি ক্ষেত্রে সিঙ্গল উইনডো সিস্টেম। উৎপাদন ও উত্তোলনে একটি সংস্থাকেই বরাত দেওয়া হবে।

প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যেসব অস্ত্র ও সরঞ্জাম ভারতেই উৎপাদন হয় সেগুলি এখানকার উৎপাদনকারী সংস্থা থেকেই কিনতে হবে, বাইরে থেকে আমদানি করা যাবে না। কিছু অস্ত্র ভারতে নির্মাণ বাধ্যতামূলক। গুণমান বজায় রেখে দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদনকে চাঙ্গা করা হবে। আমদানি নির্ভরতা কমাতে হবে। এই লক্ষ্যে আধুনিকীকরণ, উৎপাদন ক্ষমতা ও গুণমান বৃদ্ধির জন্য অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডকে আধুনিক কর্পোরেট ধাঁচের করা হবে, যা কোনওভাবেই বেসরকারিকরণ নয়। প্রতিরক্ষায় বিদেশি বিনিয়োগের সীমা ৪৯ শতাংশ থেকে বেড়ে হচ্ছে ৭৪ শতাংশ।

বিমান যাত্রার সময় কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ৬ টি বিমানবন্দরের নিলাম হবে। ভারতকে উড়ান মেরামতির ক্ষেত্র বানানো হবে। অসামরিক বিমানের জন্য নতুন আকাশসীমা নির্ণয়। দুমাসের মধ্যে এর নির্দেশিকা দেওয়া হবে।

কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার বেসরকারিকরণ করা হবে। সাধারণ উপভোক্তা ও শিল্পক্ষেত্রে উন্নত ও মসৃণ বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাকে অনুমোদন। ইসরোর সঙ্গে বেসরকারি সংস্থার গাঁটছড়ায় অনুমতি। পিপিপি মডেলে মেডিক্যাল আইসোটোপ তৈরির অনুমতি। চিকিৎসা গবেষণায় পিপিপি মডেলে উৎসাহদান। আণবিক শক্তি সংক্রান্ত গবেষণায় সংস্কার।
