Sunday, November 16, 2025

দেশের শাসক দল কঠিন পরিস্থিতিতে বাংলায় নোংরা রাজনীতির খেলায় নেমেছে : ফিরহাদ

Date:

Share post:

“ফেসবুকে নয়, বাংলার ১০ কোটি মানুষের হৃদয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নাম লেখা”! আজ, বুধবার এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। এই কথা বলতে গিয়ে ফিরহাদ হাকিম

মান্না দে’র বিখ্যাত গানের লাইন “পাথরে লিখ নাম, সে নাম মুছে যাবে। হৃদয়ে লিখ নাম, সে নাম রয়ে যাবে’- পউদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করেন।

এরপরই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর কথায়, ভারত শাসন যে দল করছে, সেই দল রাজ্যে এক নোংরা রাজনীতিতে নেমেছে। শরৎ সিং নামের এক ব্যক্তি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছিল, আজ সেই মামলা সুপ্রিম কোর্ট নাকচ করে দিয়েছে। সেই ব্যক্তি বিজেপির প্ররোচনায় এমন কাজ করেছিলেন বলে দাবি করে ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, এই কলকাতা শহর ও পুরসভাকে বিরক্ত করতে বিজেপি চক্রান্ত করছে। কারণ, কেউ মানুষের ভালো চাইলে এরকম কঠিন সময় রাজনীতি করবে না।

অমিত শাহের রাজ্যের বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশ্য ভিডিও বার্তায় বক্তব্য রাখার প্রসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ভিডিও কনফারেন্সে কোনও দলের ভার্চুয়াল মিটিং হলে শীর্ষ নেতৃত্ব বক্তব্য রাখবে, এটার মধ্যে বিরাট নতুনত্ব কিছু নেই। বিজেপি সেটা ফলাও করে প্রচার করে, কিন্তু তাঁরা প্রচার করেন না। সব দলই ভার্চুয়াল মিটিং করছে। সেখানে বিজেপির হচ্ছে, এতে আহামরি কিছু নেই। বরং, না করাটাই আশ্চর্যের। শুধু বিজেপি নাম দিয়ে প্রচার করে, আর তাঁরা চুপচাপ কাজ করেন। এটাই পার্থক্যের বলে জানান ফিরহাদ।

কোভিড পরিস্থিতিতে জন প্রতিনিধিদের অবদান অনস্বীকার্য। প্রশাসক হিসেবে জন প্রতিনিধিদের এই জন্যই নিয়োগ করা হয়েছে, যাতে মাইক্রো লেভেল বা বেস লেভেল পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন করা যায়। কারণ, জনপ্রতিনিধি ছাড়া অন্যদের মাইক্রো লেভেল বা বেস লেভেল জানা সম্ভব নয় বলে মনে করেন ফিরহাদ। দলমত নির্বিশেষে কলকাতা পুরসভার হয়ে সকল জন প্রতিনিধি মানুষের জন্য কাজ করছেন, কিন্তু তার মাঝে রাজনীতি করাটা দুর্ভাগ্যজনক বলে জানান তিনি। মাইক্রো পরিকল্পনার মাধ্যমে বস্তি অঞ্চলের কোভিড পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে, কিন্তু যেভাবে আসা-যাওয়া হচ্ছে তাতে কতদিন পরিস্থিতি ঠিক থাকবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন পুরসভার মুখ্য প্রশাসক।

একইসঙ্গে ফিরহাদ হাকিম জানান, আমফানের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত প্রচুর গাছ। তাই গাছের সংখ্যা বাড়িয়ে পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমাতে আগামী ৫ জুনপরিবেশ দিবসের দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং গাছ লাগিয়ে গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। তিনি আরও জানান, যে আগামী দিনের পরিবেশ দূষণের মাত্রা রোধের জন্য কলকাতায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৫,০০০ গাছের বিকল্প হিসেবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী ৫০,০০০ নতুন গাছ লাগানোই কলকাতা পুরসভার অন্যতম লক্ষ্য।

spot_img

Related articles

জঘন্য পিচ হতশ্রী ব্যাটিং, নিজেদের মর্জি ফলাতে গিয়ে লজ্জার হার ভারতের

ম্যাচের শেষে দর্শকের চোখ ছিল গৌতম গম্ভীরের অভিব্যক্তির দিকে। ইডেন গার্ডেনসের চেনা পিচের চরিত্র বদলে দিতে বাধ্য করেছিলেন...

২৪ ঘণ্টা পার: উত্তরপ্রদেশে পাথরখনি ধসে আটকে ১৫ শ্রমিক! মৃত ২

নিয়ম না মেনে খনিতে বিস্ফোরণ ঘটানো। তার জেরে বড় সড় ধস উত্তরপ্রদেশের শোনভদ্রের পাথর খনিতে (stone quarry)। শুক্রবার...

লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণস্থলে সেনা কার্তুজ উদ্ধার! উৎস নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা 

দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় (Car blast near Red fort) এবার এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এল। রবিবার...

বিহারে হঠাৎ বাড়ল ৩ লক্ষ ভোটার! কমিশনের তথ্যেই কারচুপি প্রমাণিত

বিহার নির্বাচনে বিজেপির অস্ত্র নির্বাচন কমিশন। বারবার নির্বাচনের আগে বিরোধী দলগুলি সেই অভিযোগেই সরব ছিল। বিহারে এসআইআর (Bihar...