লকডাউনের পর কলকাতা কোর্ট খুলছে ১১ জুন। আর এজলাস চালু রাখতে কর্মীদের জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে পিক আপ-ড্রপ। ১৫টি বাস থাকছে এর জন্য। এই বাসগুলি করে বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মীদের আনা হবে ওই দিন থেকেই। নিয়ন্ত্রিতভাবে হাইকোর্টের এজলাস সচল করতে প্রয়োজন কর্মীদের। তাই কোভিড ১৯ প্রোটোকল মেনে বাসে কর্মীদের আনা হবে। আসনের সমসংখ্যক যাত্রী নিয়ে কর্মীদের আনা হবে বলে হাইকোর্ট সূত্রে খবর। হাজারেরও বেশি কর্মী ছড়িয়ে রয়েছেন রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মীদের আনতে ৯ জুন থেকে শুরু হচ্ছে কর্মীদের বাসে পিকআপ ও ড্রপের সুবিধা।

কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসনের তরফে ১৫টি বাসের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। নিখরচায় বাসে কর্মীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও নদিয়া জেলা থেকে হাইকোর্ট স্টাফেদের আনা হবে। কলকাতা শহরের একাধিক পয়েন্ট থেকে যাতায়াতের সুবিধার জন্য বাসের ব্যবস্থা থাকছে। বর্ধমানের নবাবহাট বাসস্ট্যান্ডের থেকে ২টি বাস ছাড়বে সকাল সাতটা নাগাদ। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে এবং জিটি রোড হয়ে স্টাফেদের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে তুলে কলকাতা হাইকোর্টে পৌঁছাবে সকাল সাড়ে ন’টার মধ্যে।
পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদা থেকে সকাল সাতটায় একটি বাস ছাড়বে। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার, বারুইপুর, বজবজ, নদিয়া জেলার কল্যাণী থেকে কর্মীদের আনার জন্য সরকারি বাসের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কলকাতা এয়ারপোর্ট ২.৫ নম্বর গেট এবং গড়িয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ছাড়বে বাস।

প্রতেক বাসে লাগানো থাকবে অন ডিউটি হাইকোর্ট স্টিকার। হাইকোর্ট সময়কাল শেষ হওয়ার পর ফের একই রুটে ড্রপেরও সুবিধা থাকছে।
