Thursday, August 28, 2025

করোনাভাইরাস আঘাত না হানলে এতদিনে কলকাতা-সহ শতাধিক পুরসভার নির্বাচন মিটে যেত৷ শাসক-বিরোধী দু’তরফই এখন পাখির চোখ করতো ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনকে৷

তা হয়নি৷ পুরভোট কবে হবে জানা নেই৷ ওদিকে, ভোট নিয়ে একাধিক জল্পনাও মাথাচাড়া দিয়েছে৷ দুই ভোট একসঙ্গে সেরে ফেলা, আগে পুরসভা পরে বিধানসভা, আগে বিধানসভা পরে পুরসভা, ভোট নিয়ে এ জাতীয় নানারকম কথা ভেসে বেড়াচ্ছে৷

বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলির অনেকেই চাইছে, আগে পুরভোট হোক, তারপর হোক বিধানসভার ভোট৷ এতে বাংলার ‘আওয়াজ’ মেপে নেওয়া যাবে৷ বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল সাজাতে সুবিধা হবে বলে তারা মনে করছে৷

তবে এমন নাও হতে পারে৷ রাজ্যে এখনও তুঙ্গে সংক্রমণ৷ করোনার ধাক্কা কমলেও সামাজিক দূরত্ব বিধি-সহ অন্যান্য একাধিক সতর্কতামূলক প্রক্রিয়া আগামী বহুদিন চালু থাকবে৷ স্বাভাবিক ও চালু পদ্ধতিতে ভোটের প্রচার সেক্ষেত্রে অসম্ভব৷ চালু করতে হবে নতুন কোনও উপায়৷ সেই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষে ভোটে যাওয়া যথেষ্টই সমস্যাজনক৷ তার উপর পরপর দু’টি ভোট৷

জুন মাস চলছে৷ রাজ্যে খুব দ্রুত ভোটের পরিবেশ ফিরে আসতেও কমপক্ষে দেড়-দু’মাস৷ আগস্ট- সেপ্টেম্বরে শতাধিক পুরসভার ভোট হলে, নতুন বোর্ডগঠন প্রক্রিয়া মিটতে আরও ২-৩ সপ্তাহ ৷ ততদিনে চলে আসবে পুজো৷ ওদিকে বিধানসভার ভোটের সময়ও চলে আসবে৷
পুরভোট শেষ করার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বিধানসভার ভোটে ঝাঁপানো, দলগুলির পক্ষে যথেষ্টই চাপের বিষয়৷

তাই ভাবনা চলছে আগে বিধানসভা ভোট সেরে তারপর বকেয়া পুরভোট করা নিয়ে৷ মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভাগুলিতে ইতিমধ্যেই আইনি পথে প্রশাসক বসিয়ে ‘রেগুলারাইজ’ করা হয়েছে৷ এই পদ্ধতিতে এক বছর কাজ চালাতেই পারে পুরসভাগুলি৷ তাই আগে বিধানসভা ভোট করে ফেলা যায় সহজেই৷

রাজনৈতিক মহলের খবর, বিজেপি চায় পুরভোট আগে হোক৷ রাজ্যে বেশ কিছু পুরসভা এবার তাদের হাতে আসবে বলেই পদ্ম শিবির আশাবাদী ৷ আর সেই ফলের প্রভাব পড়বে বিধানসভা ভোটে৷ তাদের প্রচারের হাতিয়ার হবে ওই সব ফল, এমন ভেবেই ঘর গোছানোর কাজ চালাচ্ছে বিজেপি৷ পাশাপাশি এমনও ভাবছে, পুরভোটে যে সব সদ্য মেয়াদ শেষ হওয়া কাউন্সিলরদের তৃণমূল প্রার্থী করবে না, তাঁদের দলে টেনে, প্রার্থী করে ঘাসফুল শিবিরে ফাটল লাগানো যাবে৷

এই ছকেই কিন্তু ঠাণ্ডা জল পড়তে পারে৷ বিধানসভা ভোটে আগে হলে কিছুটা অসুবিধায় পড়তে পারে বিজেপি৷ দল ভাঙানোর ছক কাজে আসবেনা৷ বিধানসভা ভোটে পরিকাঠামো সাজানোই আছে তৃণমূলের ৷ এই ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়েই আছে বিজেপি৷ বিধানসভা ভোটে পরাস্ত করলে বিজেপি’র মনোবল ভেঙে যাবে৷ ‘আশাহত’ হয়ে দল ছন্নছাড়া হবে৷ পুরভোটে আর গেরুয়া শিবির সেভাবে দাঁত ফোটাতে পারবে না বলেই ধারনা করছে শাসক শিবির৷ এ পথে অগ্রসর হলে দু’টি ভোটেই সুবিধাজনক অবস্থায় থাকতে পারবে৷

এই সব কারনেই রাজনৈতিক মহলের ধারনা, বাংলায় আগে হবে বিধানসভা নির্বাচন, তার পরে হবে বকেয়া পুরভোট৷

Related articles

রজতজয়ন্তীতে ডব্লিউবিএনইউজেএসকে উচ্চ প্রশংসা, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ প্রধান বিচারপতির

কলকাতার পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় (ডব্লিউবিএনইউজেএস)-এর উৎকর্ষতা এখন বেঙ্গালুরুর থেকেও এগিয়ে—রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করলেন কলকাতা হাই কোর্টের...

এসএসসি নিয়োগ পরীক্ষা পিছবে না, আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট 

স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেও লাভ হলো না কিছু প্রার্থীর। দেশের...

যাত্রীদের জন্য দুঃসংবাদ! রবিবার টালিগঞ্জ থেকে ক্ষুদিরাম পর্যন্ত বন্ধ মেট্রো 

কলকাতার ব্লু লাইনের যাত্রীদের জন্য দুঃসংবাদ। আগামী রবিবার মহানায়ক উত্তম কুমার (টালিগঞ্জ) থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশন পর্যন্ত বন্ধ...

এনএইচএম কর্মীদের বড় উপহার, উৎসবের মুখে বোনাস ঘোষণা রাজ্যের 

উৎসবের দোরগোড়ায় জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের কাজে নিযুক্ত রাজ্যের স্বেচ্ছাসেবক ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।...
Exit mobile version