বেঙ্গালুরুতে স্ত্রীকে মেরে কলকাতায় এসে শাশুড়িকে খুন করে আত্মঘাতী জামাই

shoot out at gorakkhpur

ফের কলকাতা শহরে খুন এবং আত্মহত্যার ঘটনা। বেঙ্গালুরুতে স্ত্রীকে খুন, কলকাতায় ফিরে শাশুড়িকে খুন করে আত্মঘাতী জামাই৷ একই ঘরে মিলল দু’জনের নিথর দেহ। আর গোটা ঘটনার সাক্ষী থাকলেন শ্বশুর। ভয়ে দরজা আটকে পাশের ঘরে আশ্রয় নেন তিনি।

শাশুড়িকে খুন করে জামাইয়ের আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। পুলিশ সূত্রে খবর, বেঙ্গালুরুতে স্ত্রীকে খুন করে কলকাতায় ফিরে শাশুড়িকে খুন করে আত্মঘাতী জামাই। অমিত আগারওয়াল (৪২) বেঙ্গালুরু থেকে রবিবার বিমানে কলকাতায় ফেরেন। অমিত একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট এবং তাঁর স্ত্রী শিল্পী আগারওয়াল (৩৮) একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট। জানা গিয়েছে, তাঁরা দু’বছর ধরে আলাদা থাকছিলেন। বিচ্ছেদের মামলা চলছিল।

সোমবার সন্ধে নাগাদ এই ঘটনা ঘটে ফুলবাগান এলাকায়। পরপর ২টি গুলির আওয়াজ শোনা যায় ফুলবাগানের রামকৃষ্ণ সমাধি রোডের রামেশ্বরম আবাসনে। ওই আবাসনের তিনতলায় থাকতেন ললিতা ঢনঢনিয়া ও তাঁর স্বামী সুভাষ ঢনঢনিয়া(৬০)।

শাশুড়ি ললিতা ঢনঢনিয়াকেও গুলি করে খুন করে অমিত। ভয় পেয়ে শ্বশুর ফ্ল্যাটের বাইরে বেরিয়ে বাইরে থেকে দরজা আটকে পাশের ফ্ল্যাটে আশ্রয় নেয়। পরে নিজেও আত্মঘাতী হন অমিত।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ফুলবাগান থানার পুলিশ। থেকে দরজা ভেঙে পুলিশ দেখে বীভৎস কাণ্ড। ঘরের মেঝেতে তখন পড়ে রয়েছেন রক্তমাখা ললিতা ঢনঢনিয়া। আর বিছানায় তাঁর জামাইয়ের রক্তাক্ত দেহ। একই সঙ্গে ঘরে থেকে একটি ৬ এমএম পিস্তল উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশের প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মৃত অমিত আগরওয়ালের মাথায় গুলি লেগেছে। ফুলবাগান থানা বলছে অমিতের সুইসাইডাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যদিকে, ললিতাদেবীর বুক ও পেটে গুলির চিহ্ন রয়েছে। ঘটনাস্থলে রয়েছেন কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড অফিসাররা।

Previous articleরাজ্যে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৫৬৯
Next articleবিমানবন্দরে পার্কিং ফি’র নামে তোলাবাজি! দমদম কর্তৃপক্ষ যেন অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র