রিপোর্ট না মেলায় 16 ঘণ্টা মিষ্টির দোকানে পড়ে দেহ

আমহার্স্ট স্ট্রিটের পরে গৌরীবাড়ি লেন। ফের করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত রোগীর দেহ পড়ে রইল দীর্ঘক্ষণ। অরবিন্দ সেতুর মুখে একটি মিষ্টির দোকানের মালিক বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। বুধবার তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়। এরপর অবস্থা বেশি সংকটজনক হলে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সেই সময় দেহ হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তখনও করোনার রিপোর্ট না আসায় ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি।
এরপরে রোগীর পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দারা বটতলা থানায় দেহ নিয়ে যান কিন্তু পুলিশ কারোনা পরীক্ষার রিপোর্ট না পাওয়া গেলে পরবর্তী কোন ব্যবস্থা করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়। দেহ নিয়ে ফিরে যান পরিবারের লোকেরা। সারারাত মিষ্টির দোকানের মধ্যে দেহ রেখে দেওয়া হয়। দোকানের কর্মীরা বাইরে রাস্তায় শুয়ে পড়েন।
বৃহস্পতিবার সোয়াব টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরে থানা এবং পুরসভায় যোগাযোগ করলে প্রশাসনের তরফ থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয়।
কিন্তু 16 ঘণ্টা দোকানের মধ্যেই ছিল মৃতদেহ। ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। একইসঙ্গে অসন্তুষ্ট মৃতের আত্মীয়রাও। তাঁদের অভিযোগ, এইরকম সংকটের সময় প্রশাসন থেকে তেমন সাহায্য পাওয়া যায়নি। প্রিয়জনের দেহ 16 ঘণ্টা দোকানে ফেলে রাখা কতটা মর্মান্তিক সেই কথাই বারবার বোঝানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা।

Previous articleমায়ানমারে রত্নের খনিতে ভয়াবহ ধস, মৃত অন্তত ১১৩ শ্রমিক, আটকে ২০০-র বেশি
Next articleদুর্নীতির তদন্ত করা উচিত আইসিসি-র, গড়াপেটা নিয়ে মত বিসিসিআই দুর্নীতি দমন শাখার প্রধানের