লকডাউন ধাক্কা দিয়েছে সব ক্ষেত্রকে। এই তালিকা থেকে বাদ যায়নি ফুটবল। মহামারি পরিস্থিতিতে সংসার চালাতে সব্জি বিক্রি করছে কোন্নগরের বাসিন্দা দীপ বাগ।মোহনবাগান অ্যাকাডেমির ফুটবলার দীপ। কিন্তু লকডাউনের ফলে মাসিক যে টাকা ক্লাব থেকে পেতেন তা বন্ধ রয়েছে। দীপের এই অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিষয় সামনে আসার পরে শনিবার তাঁর পাশে দাঁড়াল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্মকর্তা মানস রায়। এদিন দীপের সঙ্গে দেখা করেন মানস রায়। তিনি জানান, দীপের এই সঙ্কটের সময় ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁর পাশে আছে।
ফুটবলকেই ধ্যান-জ্ঞান করে এগিয়ে চলছিলেন কোন্নগর বাঞ্ছারাম মিত্র লেনের বাসিন্দা দীপ বাগ। নিজের প্রতিভার জোরে সুযোগ করে নিয়েছিলেন দুর্গাপুরের মোহনবাগন অ্যাকাডেমিতে। মাসিক ১ হাজার টাকা ভাতাও মিলছিল। অনুর্দ্ধ-১৯ এ যথেষ্ট পারদর্শীতা রেখে এগিয়ে চলছিলেন এই স্টপার। কিন্তু অতিমারি পরিস্থিতিতে সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গে লকডাউন নেমে এসেছে দীপের জীবনেও।
রিক্সাচালকের একমাত্র ছেলে দীপের এখন মাঠে নয়, জ্জ্বলে থাকতে প্রতিনিয়ত অন্ধকারের সঙ্গে লড়াই চালাতে হচ্ছে ফুটপাথে। লকডাউনের জেরে বন্ধ হয়েছে অ্যাকাডেমি। বন্ধ হয়েছে হাজার টাকা ভাতাও। আকাশে ওঠার সিঁড়ি হারিয়ে দীপ এখন মাটিতে। কোন্নগরে রাস্তার পাশে একটুকরো প্লাস্টিক পেতে অপটু হাতে সব্জি বিক্রি করেই সংসার চালাতে হয় উঠতি এই ফুটবলারকে। তবে এখনও ফুটবল প্রীতি এতটুকু কমেনি তাঁর। রোজ সকালে পাইকারী বাজারে যাওয়ার আগে নিয়ম করে ফুটবল অনুশীলন করেন তিনি। সবুজ মাঠে প্রদীপ জ্বালাতে এবার দীপের পাশে দাঁড়াল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব।