ভাইরাস ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেই সাতপাক

মুখে মাস্ক, নীচে হাঁটু জল। এর মধ্যেই চারহাত এক হল তুফানগঞ্জের সুব্রত ও দোলনের। দাম্পত্য জীবনের প্রতি মুহূর্তেই মনে থাকবে করোনাভাইরাস এবং বন্যা পরিস্থিতির স্মৃতি। তবে, নিয়ম মেনে কোনও ভিড় করা হয়নি বিয়েবাড়িতে।

শিলিগুড়ি থেকে কোচবিহারে মাসির বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন দোলন। তারপরেই শুরু হয়ে যায় লকডাউন। আর ফেরা হয়নি। হয়তো আর কোনদিন সেই ভাবে ফিরতেও পারবেন না শিলিগুড়িতে। কারণ, এই লকডাউনেই তুফানগঞ্জ নাককাটি বাসিন্দা সুব্রত বসাকের সঙ্গে মন দেওয়া-নেওয়া হয়।করোনা আতঙ্কের মধ্যেই পারিবারিক সম্মতিতে মাসির বাড়িতেই ১২ জুলাই দুজনের বিয়ে হয়। মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল সেই সময়। উঠোনে দাঁড়ানোর মত জায়গা পর্যন্ত ছিল না। তাই চেয়ার পেতে কোনওক্রমে বিয়ে হয় দুজনের।
বন্যা পরিস্থিতিতে মাসিরবাড়ি জলের নীচে, বাসিবিয়ে করা যথেষ্ট সমস্যা। তাই টোটোতে করে সস্ত্রীক নিজের বাড়িতে যান সুব্রত। কনের বাড়ি অর্থাৎ শিলিগুড়ি থেকে তাঁর বাবা-মা, ভাই-বোন এবং পিসি গিয়েছিলেন বিয়েতে। আত্মীয়-স্বজন যেতে পারেননি বিয়েতে। তবে যেখানে মনের মিল হয়েছে, সেখানে আড়ম্বরের কী প্রয়োজন? এখন এটাই ভাবছেন নব দম্পতি।

Previous articleগেমিং প্ল‍্যাটফর্মে অনলাইন পেমেন্ট করে আর্থিক প্রতারণার শিকার অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়
Next articleবচ্চনদের ২৬ কর্মী করোনা নেগেটিভ