গত ১৫ জুন লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত ও চিনের রক্তক্ষয়ী সেনা সংঘর্ষ হয়। তাতে মারা যান ২০ জন ভারতীয় সেনা। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, চিনের সেনাবাহিনীর কর্নেল সহ সেদেশের প্রায় ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ঘটনায়। কিন্তু চিন সরকারিভাবে সেই তথ্য অাজ পর্যন্ত গোপন রেখেছে। সম্প্রতি মার্কিন গোয়েন্দারা খবর দিয়েছেন, গালওয়ানে নিহত চিনা সেনাদের দেহগুলি পুড়িয়ে ফেলেছে শি জিনপিং প্রশাসন। সেই সময় মৃত সেনাদের আত্মীয়দেরও উপস্থিত থাকতে দেওয়া হয়নি। তথ্য লোপাটের উদ্দেশ্যে চরম গোপনীয়তায় এই কাজ করেছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টি।

ভারতে যখন পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গালওয়ানে মৃত ২০ জন সেনার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন, তখন নিজেদের মৃত সেনাদের প্রতি চরম অসম্মান ও নিষ্ঠুর উদাসীনতা দেখিয়েছে চিন। মার্কিন গোয়েন্দাদের খবর, পিপলস লিবারেশন আর্মির মৃত সেনাদের দেহ লোপাটই শুধু নয়, তাদের পরিবারের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। চিনের অসামরিক বিষয়ক মন্ত্রক থেকে মৃত সেনাদের পরিবারকে বলা হয়েছিল, মৃতদেহের প্রথামাফিক শেষকৃত্য করা যাবে না। মৃতদেহগুলি পুড়িয়ে ফেলা হবে। সেখানে মৃতদের পরিবারের কেউ উপস্থিত থাকতেও পারবেন না। এক্ষেত্রে চিনের সরকারের অজুহাত, করোনা মহামারির পরিস্থিতিতে সংক্রমণের ভয়েই দেহগুলি পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। যদিও মৃতদের পরিবার ও চিনের সাধারণ মানুষের ধারণা, সরকার লাদাখে সেনা মৃত্যুর কথা গোপন করতে চায়। তাই এই যুক্তি সামনে এনেছে। মৃতদের পরিবারের সদস্যরা ও বহু সাধারণ মানুষ চিনের নিজস্ব সোশ্যালমিডিয়া ওয়েইবোতে এই বিষয়ে ক্ষোভের কথা জানান। কিন্তু সরকার থেকে তাঁদের নানাভাবে ভয় দেখিয়ে দমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। চিনের আশঙ্কা, পিপলস লিবারেশন আর্মির সেনাদের মৃত্যুর খবর প্রকাশ পেলে দেশে ও বিদেশে সরকারের মুখ পুড়বে। তাই তা পুরোপুরি চেপে দেওয়া হয়েছে।
