দেউলিয়া হয়ে সপরিবারে আত্মহত্যার পরিকল্পনা, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সিদ্ধান্ত বদল

লকডাউনের জেরে ক্ষতির মুখে পড়েছে ব্যবসা। এদিকে বাড়ি বন্ধক রাখার পর সেই টাকা শোধ করতে পারেননি তাঁরা। ফলে ব্যাঙ্ক থেকে লোক এসে যেকোনও সময় উচ্ছেদ করতে পারে। এই আশঙ্কা থেকে সপরিবারে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় হাওড়া ডোমজুড় এলাকার এক ট্রাভেল ব্যবসায়ী। শেষ পর্যন্ত প্রশাসন হস্তক্ষেপ করে।

ওই ট্রাভেল ব্যবসায়ীর নাম শৈবাল দত্ত। লকডাউনের জেরে পরিবারের তিনজনের চিকিৎসার খরচ তো দূর দুবেলা দুমুঠো জুটছিল না। স্ত্রী ছাড়াও বাড়িতে রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা ও মা। তাঁর বাবা হৃদরোগী। মা কিডনির অসুখে ভুগছেন। পনেরো বছরের ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। এছাড়াও রয়েছে আট বছরের এক মেয়ে। এই অবস্থায় আত্মহত্যা একমাত্র পথ বলে মনে করেন শৈবাল দত্ত। এই পরিস্থিতিতে পাশে দাঁড়িয়েছে প্রশাসন। সোমবার তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে ছেলের চিকিৎসার জন্য টাকা মঞ্জুর করলেন বিডিও।

পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা করাতে গিয়ে আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েন ওই ব্যবসায়ী। নিজেদের বাড়ি ব্যাংকে বন্ধক রেখে ৫ লক্ষ টাকা ঋণ নেন তিনি। কিন্তু সেই টাকা শোধ করতে পারেননি। ফলে চাপ দিচ্ছে ব্যাংক। তাঁর অভিযোগ সাহায্য চেয়ে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী এবং স্থানীয় বিধায়ককে চিঠি লিখেছেন। কিন্তু কোনও সাহায্য মেলেনি। ডোমজুড়ের বিডিওর কাছেও সাহায্যের জন্য আবেদন করেন।

বিডিও রাজা ভৌমিক তাঁর পরিস্থিতির কথা শুনে জানান ওই পরিবারের পাশে প্রশাসন রয়েছে। এদিন শৈবাল দত্তের কাছে বিডিও জানতে চান কোন ব্যাঙ্কের কোন শাখায় কত টাকা ঋণ আছে। মা ও বাবার চিকিৎসার জন্য মাসে কত খরচ হয়। একই সঙ্গে ছেলের চিকিৎসার জন্য টাকার ব্যবস্থা করে দেন। খাবারের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেই দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে।

Previous articleBREAKING: করোনা আবহে ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্থগিত
Next articleগোষ্ঠী সংক্রমণের ফল? এবার বাংলায় একদিনে করোনা আক্রান্ত ২,২৮২