২২দিন কোমায় থেকে উঠে দাঁড়ালেন কলকাতার ‘মৃত্যুঞ্জয়’

চোখ খোলার পর হঠাৎই পাল্টে গেল পৃথিবী। শরীরের ক্লান্তি সঙ্গে শব্দহীন গলায় যন্ত্র বসানো। কোমায় জীবনের ২২টা দিন মুছে গিয়েছে স্মৃতি থেকে। চোখ খুলে শুধু জিজ্ঞাসা করলেন “আমি কোথায়?” কোমার আঁধার পেরিয়ে নতুন জন্মের স্বাদ পেলেন বছর ৫২-র নিতাই দাস মুখোপাধ্যায়।

টানা ৩৮ দিন কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্রের সাহায্যে ভাইরাসকে জয় করেছেন ডায়াবিটিসের রোগী। আবার দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের অসুখেও ভুগছেন তিনি। এতদিন ভেন্টিলেশনে থেকে ভাইরাস মুক্ত হওয়ার গল্প বিরল। মুদিয়ালি বাসিন্দা নিতাই দাস মুখোপাধ্যায়। কোমা কাটিয়ে উঠে হাঁটতে বেশ সমস্যা হচ্ছে। গত ২৯ মার্চ থেকে ৮ মে ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে কাটিয়ে ফিরেছেন তিনি। স্ত্রী অপরাজিতা মুখোপাধ্যায় জানান, ” বাড়ি ফেরার পর দেখি ঘাড়ের কাছটা সদ্যোজাত শিশুর মতোই নরম ছিল। একা একা পাশ ফিরতে পারত না। হাসপাতাল থেকে ফেরার কুড়ি দিন পর হঠাৎ নিজেই একদিন উঠে দাঁড়াল। এই মুহূর্তটা কখনও ভুলতে পারব না।

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাজে গত আড়াই দশক ধরে শহরের রাস্তায় পরিত্যক্ত অসুস্থদের সেবা করছেন নিতাই দাস মুখোপাধ্যায়। যে কোনও বিপর্যয় মোকাবিলায় এগিয়ে যান তিনি। দেশের সংক্রমণ শুরু হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে গৃহবন্দি বয়স্কদের পরিচর্যায় জড়িয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎই পাল্টে গেল সেই ছবি। অপরাজিতা মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “এপ্রিলের ১০-১১ তারিখে ফোন আসে হাসপাতাল থেকে। চিকিৎসক শাশ্বতী সিংহ নিজে ফোন করে জানান প্রেসার অস্বাভাবিক নেমে গিয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে খারাপ কিছু ঘটতে পারে। শাশুড়িকে কিছু জানাতে পারিনি তখন। এরপর ভোরের দিকে খবর আছে ভালো আছে পেশেন্ট।”

Previous articleহঠাৎ ক্রিয়েটিনিন বেড়ে সোমেন শঙ্কাজনক
Next articleকাঁকুড়গাছিতে পুরসভার উদ্যোগে সংক্রমণ-পরীক্ষা শিবির