তৃণমূল কংগ্রেস আর গতানুগতিক পথে নেই।
এটা সেই “উল্টে দেখুন, পাল্টে গেছে” শ্লোগানের মত।
একে তো দলে চলছে বৃহত্তম রদবদল ও ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়া। চলবে একেবারে ব্লকস্তর পর্যন্ত।
তার উপর কাঠামোগত নতুন মডেল।
ইতিমধ্যেই দলে ইতিবাচক সাড়া প্রবল।
যেমন: জেলা পর্যবেক্ষকের বদলে জেলা থেকেই কোঅর্ডিনেটর পদ।
পর্যবেক্ষকরা ছিলেন মূলত অন্য জেলার বাসিন্দা। তাঁরা গেলে তাঁদের নিয়ে ব্যস্ততা। ফিরে গেলেই যথাপূর্বং। এবার একাধিক কোঅর্ডিনেটরকে তাদের দায়িত্বে আসন ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান ও জেলা সভাপতির নেতৃত্বে হেভিওয়েট নেতারাই কোঅর্ডিনেটর হয়ে কাজ করবেন।
এটা অনেক বেশি বিজ্ঞানভিত্তিক।
এই নতুন মডেল চালু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেলাগুলি আরও শক্তিশালী করতে চেয়েছেন। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়াতেই দারুণ সাড়া।
এখন চলবে জেলা কমিটি ও ব্লক কমিটিগুলি গঠনের প্রক্রিয়া। কিন্তু আগের মত জেলা সভাপতিরা মর্জিমাফিক এসব করতে পারবেন না। স্থানীয়ভাবে নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষণরিপোর্টের ভিত্তিতে এটি তৈরি হবে কেন্দ্রীয়ভাবেই।
দলের ব্যাক অফিস যেভাবে জনসংযোগ পরিকাঠামো তৈরি করছে, সেটাও বেনজির।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই মুখ। তিনিই মানুষের কাছে আকর্ষণ। এই বিষয়টিকে কেন্দ্রীভূত রেখেই সংগঠনকে কাঠামো দেওয়ার কাজ হচ্ছে। আবেগের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে প্রযুক্তি ও কাঠামো। একেবারে সুশৃঙ্খল ক্যাডারভিত্তিক দলের চেহারা নিচ্ছে তৃণমূল। নবীন-প্রবীণ; আদি-তৎকাল ভারসাম্য রেখেই দলের নতুন চেহারা দেওয়ার কাজ চলছে।