Monday, May 12, 2025

কেটে গিয়েছে একুশটা বছর। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পরিবর্তন ঘটেছে অনেক কিছুর । কিন্তু একুশ বছর পরও কার্গিল যুদ্ধে শহিদ লেফট্যান্ট কণাদ ভট্টাচার্যের স্মৃতির এক কণাও ফিকে হয়নি টালা পার্কের বাসিন্দাদের কাছে। পাড়ার প্রাণবন্ত ছেলেটিকে আজও অনুভব করেন এলাকাবাসীরা। প্রতিটা কোণায় কোণায় রয়েছে তাঁর স্মৃতি।
আজ, এই কার্গিল বিজয় দিবসের দিনে কণাদকে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাচ্ছেন টালা পার্কের বাসিন্দারা।

তেমনই শহিদ লেফট্যান্ট কণাদ ভট্টাচার্যের স্মৃতি রেখেছেন কল্যাণ চৌধুরী। কার্গিল যুদ্ধে শহিদ লেফট্যান্ট কণাদ ভট্টাচার্যের বাড়িটি কিনে নিজের হাতে যত্ন করে তাঁর স্মৃতি আগলে রেখেছেন সেই ২০১৩ থেকে। কণাদের মৃত্যুর পর এই বাড়ি বিক্রি করে দিল্লিতে মেয়ের কাছে চলে যান তাঁর মা-বাবা। বাড়িটি কেনেন পেশায় ব্যবসায়ী টালা পার্কের কল্যাণ বাবু। লেফট্যান্ট কণাদ ভট্টাচার্য থাকাকালীন বাড়িটি যেমন ছিল ঠিক তেমন করেই রেখেছেন আজও । কণাদ ভট্টাচার্যের শোয়ার ঘরটি আলাদা করে রেখে দেওয়া হয়েছে। দেওয়ালে রয়েছে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি, ক্ষুদিরাম, সূর্য সেনের মতো মনীষীর ছবি। আর তার মাঝখানে রয়েছে শহিদ কণাদ ভট্টাচার্যের ছবি। বাড়ির ঠিক বাইরে তাঁর ব্রোঞ্চের আবক্ষ মূর্তি। কল্যাণবাবু বলেন, “শহিদের স্মৃতি রক্ষার জন্যই এই বাড়ি কিনি। আমি গর্বিত যে এই বাড়িতে থাকতে পেরে।”

১৯৯৯ সালে ২১ মে। অশান্ত কার্গিল। প্রায় দেড়শো কিলোমিটার জুড়ে তোলেলিং পাহাড়ের মতো ৪০০ টি চূড়া দখল করেছিল পাকিস্তান। মাইনাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পরিবেশে ‘অপারেশন বিজয়’ শুরু করে সেনা। দু’মাসের কার্গিল যুদ্ধে ৫৫৯ জন সেনা কর্মী শহিদ হন। আর সেই পাহাড়ের চূড়া দখল নিতে রক্ত দিতে হয় ২৬ জন অফিসার ও জওয়ানকে। তেমনই টাইগার হিল পুনরুদ্ধারের জন্য আট শিখ রেজিমেন্টের অফিসার লেফট্যান্ট কণাদ ভট্টাচার্যও শহিদ হন। প্রায় দু়’মাস পর উদ্ধার হয় তাঁর বরফে ঢাকা দেহ। পরবর্তীকালে মরণোত্তর সম্মান দেওয়া হয় তাঁকে।

Related articles

পুলওয়ামার আত্মঘাতী হামলায় মদতের কথা স্বীকার করে ফেলল পাকিস্তান

২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা হয়। শহিদ হন ৪০ জন CRPF জওয়ান। জঙ্গি...

দেশের স্বার্থ বিরোধী: অশান্তির পরিস্থিতিতে বামেদের মিছিলকে ধুইয়ে দিলেন কুণাল

পাকিস্তানী সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে যখন কেন্দ্রের সরকার অপারেশন সিন্দুর-এর মতো অভিযান চালাচ্ছে দেশের সেনা, সেই সময় পাশে দাঁড়িয়েছে গোটা...

ঝাড়গ্রামে ‘সাদা পাহাড়’ ঘিরে নয়া পর্যটন কেন্দ্র

ঝাড়গ্রামের (Jhargram) পর্যটন পরিকাঠামোয় বড়সড় উন্নয়নে পদক্ষেপ করছে রাজ্য। বেলপাহাড়ির ‘সাদা পাহাড়’ বা স্থানীয়দের কথায় ‘চেতন ডুংরি’ এলাকায়...

মহানগরীর পরিবহন ব্যবস্থায় বড় বদল! ধর্মতলায় ভূগর্ভস্থ পার্কিং প্লাজা-টানেল

মহানগরীর পরিবহন ব্যবস্থায় বড় বদল আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। মেট্রো (Metro) সম্প্রসারণের ফলে ধর্মতলা দ্রুতই হয়ে উঠবে কলকাতার...
Exit mobile version