রহস্য, গভীর রহস্য সুশান্তের মৃত্যু ঘিরে। বিহার পুলিশ যতো তদন্ত করতে গিয়ে ঘটনার ভিতরে ঢুকছে, ততই রহস্য বাড়ছে।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু তদন্তে যুক্ত হলো এবার তার প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের মৃত্যু রহস্যও। বিহার পুলিশ রবিবার তার মৃত্যু তদন্তে নামল। তবে কী দিশা এবং সুশান্তের মৃত্যুর মধ্যে গভীর কোনও রহস্য এবং যোগাযোগ আছে? ঘটনা কিন্তু তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। রবিবার বিহার পুলিশের তদন্তকারীরা মুম্বইয়ে দিশা যেখানে থাকতেন, সেই মালবনী থানায় যায়। দিশার মৃত্যুর ফাইল ফের ওপেন করতে বলেন। কিন্তু তদন্তকারীদের বিস্মিত করে মালবনী থানার অফিসাররা জানান, দিশার মৃত্যুর তদন্তের ফাইল ভুল বশত ডিলিট হয়ে গিয়েছে। পাল্টা বিহারের অফিসার বলেন, তাঁরা ফাইল রিকভার করতে সাহায্য করতে পারেন। কিন্তু মালবনী থানার অফিসাররা ল্যাপটপ দিতে অস্বীকার করেন। সেই সঙ্গে বলেন, সবেতন ছুটির আনন্দ নিন। নেতারা লড়ে মরছে তো!
দিশা যে বহুতলে থাকতেন, সেখানকার প্রতিবেশীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশ্চর্যের বিষয় দিশার পরিবারের কাউকে এখনও পাওয়া যায়নি। ১৪ তলা থেকে পড়ে গিয়ে দিশার মৃত্যু হয়েছিল। পুলিশের দাবি দিশা আত্মহত্যা করেন। লক্ষ্যনীয় বিষয় হলো দিশার মৃত্যু হয় ৮ জুন, আর সুশান্তের ১৪ জুন। তাহলে দুই মৃত্যুতে রহস্য আর যোগাযোগ কী রয়েছে? বিহার পুলিশের এক আধিকারিক বলেছেন, যত ভিতরে ঢোকা যাচ্ছে, রহস্য বাড়ছে। তাঁরা সুশান্তের ফ্ল্যাটের ডুপ্লিকেট চাবি বানানোর কারিগরকেও এখনও খুঁজে পাননি। ফলে কোথাও যেন চক্রান্তের অভিযোগ স্পষ্ট হচ্ছে।