দেহ সৎকার ঘিরে উত্তেজনা কোচবিহার মহাশ্মশানে

দেহ সৎকার ঘিরে উত্তেজনা কোচবিহার মহাশ্মশানে। রণক্ষেত্র চেহারা নিল পিলখানা এলাকা।  পুলিশ ও এলাকাবাসীর মধ্যে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইসি সৌম্যজিৎ রায়ের নেতৃত্বে কোতোয়ালি থানার পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। লাঠিচার্জ করে জমায়েত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হয় পুলিশ।

এলাকাবাসীদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সন্ধেয় হঠাৎই পুলিশ এলাকাকে ঘিরে ফেলে। তারপরই শ্মশানে দেহ নিয়ে ঢোকে কোচবিহার জেলা প্রশাসন এবং কোচবিহার পুরসভার কর্মীরা। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে তাঁদের উপরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। দুটি কাঁদানে গ্যাসের শেল পাঠানো হয়।
কোচবিহার পুরসভার সেনেটারি অফিসার বিশ্বজিৎ রায় জানান, যে ব্যক্তির দেহ সৎকার করতে নিয়ে যাওয়া হয়, তাঁর শরীরে কোনও ভাইরাস ছিল না। তবে তাঁর করোনা চিকিৎসা হয়েছিল এবং তিনি কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এই কথা জানাজানি হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা দেহ সৎকারে বাধা দেন। পুলিশের উপর চড়াও হন বলেও অভিযোগ। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকলে বাধ্য হয়ে পুলিশ লাঠি চালায়। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে দেহ সৎকার হয়েছে। এদিন অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসনের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বদীপ মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ওই ব্যক্তিকে তিনি নিজে কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন, তিনিই সৎকার করলেন।
কোচবিহারের পাশাপাশি এদিন তুফানগঞ্জ 6 নম্বর ওয়ার্ডের দেহ সৎকারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও বা কোচবিহার জেলাশাসক পবন কাদিয়ান জানান, বৃহস্পতিবার করোনা আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি।

Previous articleশ্যামল চক্রবর্তী এক বহমান ধারার নাম
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ