নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্বে বদল চেয়ে সোনিয়াকে চিঠি ১০০ কংগ্রেস নেতার

কংগ্রেস রাজনীতিতে বড় চমক৷

এআইসিসি’র শীর্ষে স্থায়ী নেতৃত্বের দাবিতে এ বার সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখলেন প্রায় ১০০ জন কংগ্রেস নেতা।

এই ১০০জন নেতার মধ্যে বেশ কয়েক জন সাংসদও রয়েছেন। এই নেতাদের দাবি, অবিলম্বে দলের শীর্ষস্তরে নেতৃত্ব বদল এবং CWC বা কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে স্বচ্ছ নির্বাচন করতে হবে৷

প্রসঙ্গত, রাজস্থানে শচীন পাইলটের বিদ্রোহের পর দলের সমালোচনা করে বহিষ্কৃত হন কংগ্রেস নেতা সঞ্জয় ঝা। তখন তিনি বলেছিলেন, এবার নেতৃত্ব বদলের সময় এসেছে৷ এই মন্তব্যের জেরে গত মাসেই সঞ্জয় ঝা’কে দলের মুখপাত্রের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

সোমবার সোনিয়া গান্ধীকে লেখা ১০০ জনের চিঠির কথা তিনিই সামনে এনেছেন। টুইটারে ঝা বলেছেন, ‘‘দলের অন্দরে যা পরিস্থিতি তাতে উদ্বিগ্ন হয়ে সাংসদ-সহ দলের প্রায় ১০০ নেতা সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখেছেন। নেতৃত্ব বদল এবং CWC-তে স্বচ্ছ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।’’

এদিকে, কংগ্রেসের অন্য নেতারা এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও মুখ খোলেননি। তবে রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর মধ্যস্থতায় শচীন পাইলট রাজস্থানে ফিরে যাওয়ার পর থেকেই দলের অন্দরে নতুন করে রাহুলকে দায়িত্বে ফিরিয়ে আনার দাবি উঠছিল। তার মধ্যেই এ দিন ওই চিঠির কথা সামনে এল।

২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের দায় নিয়ে রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হন সোনিয়া গান্ধী। ঠিক ছিল, নতুন সভাপতি দায়িত্ব হাতে না নেওয়া পর্যন্ত সাময়িক ভাবে ওই পদে থাকবেন তিনি। কিন্তু তার পর এক বছর কেটে গিয়েছে। ১০ অগস্ট অন্তর্বর্তী সভাপতি হিসেবে সোনিয়ার মেয়াদও শেষ হয়ে গিয়েছে। নতুন প্রজন্মের কংগ্রেস নেতারা রাহুল গান্ধীকেই দায়িত্বে ফেরানোর পক্ষে সওয়াল করলেও, স্থায়ী ভাবে নেতৃত্ব দিতে পারেন এমন কাউকে সভাপতি পদে বসানোর পক্ষে প্রবীণরা।

এদিকে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বলেছেন, রাহুল গান্ধীর উপর ভরসা করে বসে থাকা উচিত নয়৷ তিনি বলেছেন, ‘‘কংগ্রেস নেতাদের কাছে সভাপতি হিসেবে এখনও রাহুল গান্ধীই প্রথম পছন্দ। উনি পদত্যাগপত্র তুলে নিলেই হবে। কিন্তু উনি যদি তাতে রাজি না থাকেন, সে ক্ষেত্রে বিকল্প সমাধান খুঁজতে হবে আমাদের।”

Previous articleরাজ্যে ভাইরাস চিকিৎসায় ‘কোভিড পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ চালু করল সরকার
Next articleকরোনায় মৃত্যুর হার কমছে রাজ্যে : মুখ্যসচিব