সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হচ্ছে চলতি বছরের আইপিএল।মহামারি আবহে দুবাইয়ে খেলার আয়োজন করা হয়েছে। এই খেলায় এবার স্কোরার হিসেবে অংশ নিচ্ছেন হুগলির মুদিখানার কর্মী সূর্যকান্ত পাণ্ডা। অভাবের সংসারে আশার আলো দেখছে হুগলির পরিবার।

তবে এই যাত্রা মোটেই সহজ ছিল না। ২০০০ সাল সংসারের অভাব দূর করতে বাবার হাত ধরে ওড়িশা থেকে বাংলায় আসেন সূর্যকান্ত পাণ্ডা। বাবা পূর্ণচন্দ্র পাণ্ডার সঙ্গে রান্নার কাজে সাহায্য করতেন। কিন্তু শুরু হয় শারীরিক সমস্যা। তাই রান্নার কাজ ছেড়ে দিতে হয়। দু’মুঠো ভাত জোগাড় করতে চুঁচুড়ার খড়ুয়াবাজারে বিশ্বনাথ সাঁধুখার মুদিখানার দোকানে কাজ শুরু করেন সূর্যকান্ত।
২০১০ সালে বাবা এবং ২০১৪ সালে মা-কে তিনি। কাজের পাশাপাশি ক্রিকেটের প্রতিও তাঁর ঝোঁক ছিল। হুগলি স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েসনের ক্রিকেট ম্যাচগুলিতে স্কোরার হিসাবে কাজ শুরু করেন। আর ফিরে তাকাতে হয়নি। মুদিখানার দোকানে কাজ করতে করতেই ক্রিকেটের নিয়মাবলি নিয়ে লেখাপড়া শুরু করেন তিনি। ২০১৫ সালে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েসন অফ বেঙ্গলের স্কোরার পরীক্ষায় বসে উত্তীর্ণ হন সূর্যকান্ত। এরপর রঞ্জি সহ একের পর এক খেলায় স্কোরার হিসাবে দায়িত্ব সামলান। ২০১৮ সালে সিএবির সেরা স্কোরার হিসাবে পুরস্কৃত হন। আর ২০২০-তে সরাসরি আইপিএলের স্কোরার হিসাবে সুযোগ করে নিলেন তিনি।

বুধবার বিশেষ বিমানে বেঙ্গালুরু উড়ে যাবেন সূর্যকান্ত। সেখান থেকে সোজা দুবাই। তাঁর স্বপ্ন একদিন তিনি আন্তর্জাতিক ম্যাচের স্কোরার হবেন। কিন্তু তার জন্য তাঁকে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। আইপিএলের পরই সেদিকে নজর দিতে চান সূর্যকান্ত। যে দোকানে সূর্যকান্ত কাজ করেন সেই দোকানের মালিক বিশ্বনাথ সাধুখাঁর কথায়, ” দোকানে না এলে কোনও অসুবিধা নেই। সূর্যকান্ত আরও এগিয়ে যাক সেটাই আমরা চাই।”
