কেউ পুরানো প্রেসক্রিপশন নিয়ে বেরিয়ে পড়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন। আবার অনেকে নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীনদের দেখতে যাচ্ছেন বলে ভিজিটির কার্ড দেখিয়ে রেহাই পাওয়া চেষ্টা করেছেন। কেউ আবার যুক্তিগ্রাহ্য কোনও কথা বলতে পারেননি। ফলে, পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জরিমানা দিয়েছেন। কারও গাড়ি আটকে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এমনই ছবি দেখা গিয়েছে উত্তরবঙ্গের আট জেলায়।

দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ—সব ক’টি জেলাতেই প্রায় একই দৃশ্য। ইংরেজবাজার টু শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোড অথবা কোচবিহারের বিশ্বসিংহ রোড, কিংবা জলপাইগুড়ির মার্চেন্ট রোড, সর্বত্রই একই ঘটনা। সব মিলিয়ে উত্তরবঙ্গে দুপুরে অবধি লকডাউনে আইন অমান্যের অভিযোগে আট জেলায় অন্তত ৫০০ জনকে পুলিশ আটক করেছে। রাত অবধি সংখ্যাটা নিশ্চিত বাড়বে। এদের মধ্যে অধিকাংশকেই অবশ্য জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে অন্তত ২০টি গাড়িকে সাময়িকভাবে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ-প্রশাসন। কারণ, লকডাউনের মধ্যে নানা অছিলায় ওই গাড়িগুলি নিয়ে ঘোরাঘুরি করা হচ্ছিল।
উত্তরবঙ্গের এরক পুলিশ কর্তা জানান, লকডাউনে রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙিয়ে ফূর্তি করার প্রবণতা শুরু হয়েছে। সেটা রুখতে সবরকম সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তিনি জানান, কেউ লকডাউনের সময়ে আইন ভেঙে ধরা পড়ে কোনও নেতার নাম করলে তা সরাসরি কলকাতায় ডিজি কন্ট্রোল ও নবান্নে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এত সবের পরেও অবশ্য উত্তরবঙ্গেল ২০ অগস্টের লকডাউনে শতাধিক ব্যক্তিকে পুলিশকে আটক করতে হয়েছে। সূত্রের খবর, কয়েকজন তৃণমিূল নেতার ফোনে আট জেলায় অন্তত ৫০ জনকে পুলিশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।