Saturday, August 23, 2025

আগামী ৫০ বছর বিরোধী আসনেই বসতে হবে কংগ্রেসকে, বোমা ফাটালেন আজাদ

Date:

বোমা ফাটালেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ও জম্মু- কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ। তাঁর মতে, দল এখন যেভাবে চলছে তা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে আগামী ৫০ বছর বিরোধী আসনে বসেই কাটিয়ে দিতে হবে কংগ্রেসকে। সম্প্রতি কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের আগে অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন গুলাম নবি আজাদ সহ দলের ২৩ জন সাংসদ ও নেতা। চিঠির স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে যেমন কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা আজাদ ও সহকারী দলনেতা আনন্দ শর্মা ছিলেন, তেমনি ছিলেন লোকসভার সাংসদ শশী থারুর, মনীশ তিওয়ারি এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল সিব্বল, রেনুকা চৌধুরী, পি জে কুরিয়েন, মিলিন্দ দেওরা সহ আরও অনেকে। কংগ্রেসের শীর্ষ স্তরে কাজের পদ্ধতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁরা সাংগঠনিক সংস্কারের দাবি তোলেন। তাঁদের মূল দাবি ছিল, বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক লড়াই জোরদার করার স্বার্থে কংগ্রেসে দরকার যৌথ নেতৃত্ব এবং শীর্ষ পদে একজন সক্রিয়, দৃশ্যমান এবং পূর্ণ সময়ের সভাপতি। বিক্ষুব্ধ নেতাদের এই চিঠি পেয়ে বেদম চটে যান সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী দুজনেই। এরপর মা-ছেলের অঙ্গুলিহেলনে আজাদ সহ অন্য নেতাদের ব্যক্তিগত আক্রমণে নেমে পড়েন গান্ধী পরিবারের অনুগত নেতারা। এই পরিস্থিতিতে এবার পাল্টা দিলেন আজাদও। বললেন, যারা দলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতি মেনে নির্বাচন চান না, দলে ভোট হলে যারা সাধারণ কংগ্রেস কর্মীদের সমর্থন পাবেন না এবং যারা শুধু পদ আঁকড়ে থাকতেই সাংগঠনিক সংস্কারে ভয় পাচ্ছেন তারাই আমাদের সমালোচনায় নেমে পড়েছেন। আজাদের কথায়, আমরা নিজেদের ভাল না ভেবে কংগ্রেসের ভালর জন্যই এই কথাগুলো বলার প্রয়োজন মনে করেছি। বাধা এলেও কংগ্রেসের স্বার্থে তা বলে যাব।

রাজ্যসভায় কংগ্রেসের দলনেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, সাংগঠনিক সংস্কার আরও ১৫-২০ বছর আগে করা উচিত ছিল। কাজের পদ্ধতি পালটানো দরকার। এগুলো এখন বলব না তো আর কবে বলব? পরপর দুটো লোকসভা নির্বাচনে আমরা বিপুলভাবে হেরেছি। এভাবে চললে আরও ৫০ বছর কংগ্রেসকে বিরোধী আসনে বসিয়েই কাটিয়ে দিতে হবে। শীর্ষ নেতৃত্ব যদি মনে করেন আমরা বরাবর বিরোধী হয়েই থাকব, তা হলে অবশ্য বলার কিছু নেই। কিন্তু সাধারণ কংগ্রেস কর্মীরা এটা চান না। আমরাও মনে করি কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবনের স্বার্থে শীর্ষ স্তরে যৌথ নেতৃত্ব থাকা জরুরি। সভাপতি পদে পূর্ণ সময়ের, দৃশ্যমান ও সক্রিয় নেতা দরকার। এখন বিভিন্ন রাজ্য, জেলা বা ব্লকে যারা সভাপতি হয়ে বসে রয়েছেন তাদের অধিকাংশেরই নীচুতলার কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বেশিরভাগ সদস্যই তাই। এরা জানেন, দলে সাংগঠনিক নির্বাচন হলে তাদের পদ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। কারণ এরা অধিকাংশই ৫১ শতাংশ ভোট পাবেন না। ব্যক্তিগত স্বার্থেই এরা আমাদের আক্রমণ করছেন। এর সঙ্গে কংগ্রেস দলের ভবিষ্যৎ ভাবনার কোনও সম্পর্ক নেই।

Related articles

সঠিক পরিকল্পনাই ডায়মন্ডহারবারের সাফল্যের চাবিকাঠি, মনে করছেন আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়

মাত্র তিন বছরের ক্লাব। কিন্তু কী অসাধারণ সাফল্য। কলকাতা লিগ, আইলিগ থ্রি থেকে আইলিগ টু জিতে এবার আইলিগের...

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...
Exit mobile version