Sunday, August 24, 2025

অভিজিৎ রাউত : তৃনমূল সরকার গঠন হওয়ার ২ বছরের মধ্যে যে পরিবর্তনটা সবার আগে মানুষের চোখে পরেছিল সেটা রাস্তা ঘাট।
৫ বছরের মধ্যে পূর্ত বিভাগ যে কাজটা করেছিল সেটাকে ভালো বললেও কম বলা হবে।
এই সরকার বুঝতে পেরেছিল রাস্তাঘাটের উন্নতি না করলে রাজ্যের অর্থনৈতিক চাকা কোনভাবেই ঘোরানো সম্ভব নয়।

তবে অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাতে বাধ্য হচ্ছি আমফান ও বৃষ্টির পর সেই অধিকাংশ রাস্তার অবস্হা খুব খুব খারাপ।
কিছু কিছু জায়গাতে আর রাস্তা বলেই কিছু নেই।
দক্ষিনবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ সর্বত্র চিত্রটা এক।

এই লেখার মাধ্যমে আমি কিছু কিছু রাস্তার কথা শুধু উল্লেখ করে সরকারের দৃষ্টি আর্কষণের চেষ্টা করছি।যেখান থেকে চলাচল করলে জীবনের ঝুঁকি অসম্ভব এবং গাড়ির প্রচন্ড ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।নিচে উল্লেখিত প্রত্যেকটি রাস্তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

১-মোছোগ্রাম থেকে ঘাটাল যাবার ২৪ কি.মি রাস্তা।

২-মল্লারপুর থেকে রামপুরহাট যেতে প্রায় ১০ কি.মি রাস্তা।

৩-নবদ্বীপ থেকে কালনা যাবার ১১ কি.মি রাস্তা।

৪- নতুনহাট থেকে বর্ধমান যাবার ৭ কি.মি

৫-আশানগর থেকে মাঝদিয়া ২৪ কি.মি

৬-ডোমকল থেকে ইসলামপুর

৭-ময়নাগুড়ি থেকে পাহাড়পুর

৮-বেলাকোবা থেকে ফাটাপুকুর

৯-গোসানিমাড়ি থেকে সিতাই

১০-দেওয়াহাট থেকে বলরামপুর

আরো অনেক আছে।ছোট খাটো গর্ত আর ভাঙা রাস্তাতো অজস্র।

সামান্য বৃষ্টি হলেই নতুন রাস্তার এরকম কঙ্কাল সার চেহারা হবে কেন?

সরকারের কাছে আবেদন,যে সংস্হাগুলোকে রাস্তার বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হোক।

কিছু অফিসার এর মধ্যে জড়িত।যারা সরকারকে অপদস্ত করতে চায়।এদের চিহ্নিত করা হোক।

কিছু স্হানীয় নেতা ঠিকাদার সংস্হা থেকে কমিশন দাবি করছে।যার প্রভাব পরছে রাস্তা তৈরির সময়।আর মূল্য চোকাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষ অর সরকারকে।

সরকারের কাছে একান্ত অনুরোধ আপনারা এই বিষয়টা একটু দেখুন।পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ নাগরিকদের এই সমস্যার সম্মুখীন প্রত্যেক বছর যাতে না পোহাতে হয়।আর রাজকোষ যাতে কিছু অসাধু মানুষের জন্য খালি না হয়ে যায়।

সবশেষে বলি শুধু রাজ্য সড়ক নয়।জাতীয় সড়কগুলোর অবস্হা তথৈবচ।এন.এইচ ২ হোক বা এন.এইচ ৩৪ অবস্থা একই রকম।এরা আমাদের থেকে কেন টোল নেবে?এরকম রাস্তার অবস্থা যেখানে।

তাই বাড়ি থেকে বেরোলে সাবধান আর গাড়ির গতিবেগ যাতে সবসময় নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে।

আরও পড়ুন-গোয়ালতোড় আগ্নেয়াস্ত্র কাণ্ডে সরাসরি সিপিএমকে দায়ী করলেন তৃণমূল সাংসদ

 

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version