ক্লাবকে পুজোর অনুদান নিয়ে ‘আমরা-ওরা’ নয়: মমতা

0
1

করোনা পরিস্থিতিতে আর্থিক মন্দায় দেশ তথা রাজ্য। এই অবস্থায় দুর্গাপুজোর খরচ জোগাড় করা সমস্যা। সে কারণেই পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করেছেন তিনি। তবে সেই বিষয়ে যেন সবাই সমান সুযোগ পায় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি মুখ্যমন্ত্রীর।

জেলাসফরে মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে পুলিশকে এই নির্দেশ দিলেন মমতা। তিনি জানান, পুজোর অনুদান দেওয়া নিয়ে যেন ‘আমরা-ওরা’ না হয় পুলিশকে সে বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। ১০ বছর পুজো করলে এবং পুলিশের অনুমতি থাকলে সেই ক্লাব আর্থিক অনুদান পাবে । এ বিষয়ে যেন কোন ভেদাভেদ না করা হয় সেদিকে পুলিশকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, কোনও জায়গা থেকে এ বিষয়ে যেন কোনো অভিযোগ না আসে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অনুদান বণ্টনে যাতে রাজনীতির রং না লাগে সেই কারণেই তিনি শাসকদলকে এ বিষয়টি থেকে দূরে রেখেছেন। পুরো অনুদান দেওয়ার প্রক্রিয়াটি করা হবে পুলিশের মাধ্যমে। সেজন্যই তিনি পুলিশকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন নিরপেক্ষতা বজায় রেখেই ক্লাবগুলিকে দুর্গাপুজো বাবদ ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দিতে হবে। এ বিষয়ে কোনো বৈষম্য যেন না হয়। কারও যেন কোনো অভিযোগ না থাকে।

কোভিড পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন জেলায় গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেননি মুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে প্রথমে চারদিনের উত্তরবঙ্গ সফর করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর মঙ্গলবার দিন তিনি দুদিনের জঙ্গলমহল সফর শুরু করেছেন। প্রথমদিনই খড়্গপুরে প্রশাসনিক বৈঠক করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বর্তমান মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা-সহ প্রশাসনের অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ছিলেন জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপাররা। মুখ্যমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। করোনা সর্তকতায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সভায় আসন বিন্যাস করা হয়।

আরও পড়ুন:হাতির হামলায় মৃত্যুতে পরিবারের একজনকে চাকরি, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর