কোনও কেমিক্যাল নয়, হোলির রং মেশানো হয়েছিল জলকামানের জলে। বিজেপির নবান্ন অভিযান বেগুনি জলের ব্যাখ্যা দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে বিজেপি নেতৃত্ব রাসায়নিক মেশানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে মুখ্যসচিব বলেন, জলে হোলির রং মেশানো হয়েছিল যাতে বিক্ষোভ কর্মসূচির পর কারা অংশগ্রহণ করেছিলেন তাঁদের চিহ্নিত করা যায়। প্রয়োজনে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই কারণেই এই পদক্ষেপ।

বৃহস্পতিবার, বিজেপির নবান্ন অভিযানে দফায় দফায় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাওড়া ও কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চল। জেলাসফর থেকে ফিরেই ভবানী ভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক করেন রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে। তারপরেই সাংবাদিক বৈঠকে বসেন ডিজি এবং রাজ্যের মুখ্যসচিব। ভবানী ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব জানান, পুলিশ যথেষ্ট সংযমের পরিচয় দিয়েছে। কোনও অবস্থাতেই তারা বিন্দুমাত্র দমনের রাস্তায় হাটেনি।

আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বুধবার মিছিলের অনুমতি চেয়ে অনেকগুলি চিঠি তাঁদের দফতরে জমা পড়ে। মহামারি আইনের কথা মাথায় রেখে তার প্রেক্ষিতেই অনুমতি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন তোলেন, যাদবপুরের তৃণমূলের মিছিল করতে যদি বাধা দেওয়া না হয়, তাহলে কেন বিজেপির মিছিলে বাধা দেওয়া হল? এর উত্তরে মুখ্যসচিব বলেন, জনসংখ্যার নিরিখেই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। বিজেপি যে জায়গায় মিছিল করতে চায় সেখানে ইতিমধ্যেই ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে মহামারি আইন। এই প্রেক্ষিতে মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। একই সঙ্গে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অল্প সময়ের মধ্যে যতটুকু তথ্য তাঁরা পেয়েছেন সেই তথ্যই প্রাথমিকভাবে সাংবাদিকদের জানানো হল।

আরও পড়ুন-জেলা সফরে থেকে ফিরেই ভবানী ভবনে ডিজির সঙ্গে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর
