Saturday, November 8, 2025

জিএসটি বকেয়া মেটাতে নতুন টেকনিক, ধার নিয়েই ধার হিসেবে রাজ্যগুলির কাছে কেন্দ্র

Date:

রাজ্যগুলির জিএসটি বকেয়া মেটতে চলেছে কেন্দ্র। নিচ্ছে ঋণ। কিন্তু এতে কি মিটতে চলেছে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত? রাজ্যগুলিকে জিএসটি বকেয়া ধার হিসেবেই দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার রাতে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্র জানিয়েছিল করোনাভাইরাসের জেরে লকডাউন চলছিল। লকডাউনের জেরে জিএসটি থেকে কমেছে আয়। কেন্দ্রের আয়ও হয়নি। ফলে কেন্দ্রের পক্ষে রাজ্যেগুলির টাকা মেটানো সম্ভব নয়। বরং রাজ্যগুলি ঋণ নিয়ে নিজেদের এই ক্ষতি পূরণ করুক। এই প্রস্তাব মেনেও নিয়েছিল বিজেপি শাসিত ২১টি রাজ্য। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, ছত্তিশগড়-সহ বেশ কিছু রাজ্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে। এই রাজ্যগুলি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়। আর সেই কারণেই কেন্দ্র ঋণ নিয়ে রাজ্যগুলির জিএসটি বকেয়া মেটতে চলেছে।

কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের বক্তব্য, সব রাজ্য রাজি হবে ধরে নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, চলতি অর্থ-বছরে জিএসটি থেকে রাজ্যগুলির যে ১.১ লক্ষ কোটি টাকা কম আয় হবে বলে অনুমান, তার সবটাই কেন্দ্র ঋণ নেবে। কিন্তু সরাসরি ক্ষতিপূরণ না-করে সেই টাকা রাজ্যগুলিকে ঋণ দেওয়া হবে। এতে কেন্দ্রের রাজকোষ ঘাটতি বাড়বে না। রাজ্যের মূলধনী আয়ের খাতায় কেন্দ্রের ঋণ দেখানো হবে। তবে রাজ্যের রাজকোষ ঘাটতি বা দেনার বোঝা বেড়ে যাবে। কিন্তু রাজ্যকে এই ঋণের সুদ বা আসল শোধ করতে হবে না। কারণ, ২০২২-এর জুলাইয়ের পরেও জিএসটি সেস বসিয়ে তা শোধ হবে। তা ছাড়া, রাজ্যগুলি আলাদা ভাবে ঋণ নিতে গেলে এক একটি রাজ্যের জন্য সুদের হার এক এক রকম হত। কেন্দ্র ঋণ নিলে তা হবে না।

এখন রাজ্যগুলি কেন্দ্রের এই প্রস্তাবে রাজি হয় কি না, তা দেখার। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম। তিনি সমর্থন করেছেন কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে।

নবান্ন সূত্রের খবর, কেন্দ্রের নতুন প্রস্তাব নিয়ে শুক্রবার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ও অন্যদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এত দিন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর যুক্তি ছিল, কেন্দ্রীয় সরকার ধার করলে সুদের হার বেড়ে যাবে। এখন অর্থমন্ত্রকের কর্তাদের বক্তব্য, কেন্দ্র এখানে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে। ফলে কেন্দ্রের নয়, দেনা বাড়ছে রাজ্যেরই। তা খাতায়-কলমে। কারণ, সেই দেনা রাজ্যকে শোধ করতে হচ্ছে না।

আরও পড়ুন-রেমডেসিভির ব্যবহারে উপকার হচ্ছে না করোনা রোগীর, কমছে না মৃত্যু হারও, সমীক্ষায় দাবি হু’র

Related articles

জন্মদিনে চরম অসৌজন্য! অভিষেককে নিয়ে বিজেপির পোস্টে সরব নেটদুনিয়া

বাংলায় বরাবর সৌজন্যের রাজনীতি দেখিয়ে এসেছে সব রাজনৈতিক দল। বাম আমলে সিপিআইএম নেতা থেকে তৃণমূল বা কংগ্রেস নেতাদের...

আইএসএল নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা, অনুশীলনই বন্ধ রাখল মোহনবাগান

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে মোহনবাগানের(Mohun Bagan) সিনিয়র দলের অনুশীলন। খবর অনুযায়ী, আইএসএল নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা। টেন্ডার সংক্রান্ত বিষয়...

জন্মদিনে মানুষের ভালবাসা মনে করিয়ে দেয় কর্তব্য: ভিড়ে মিশে গেলেন অভিষেক

সকাল হওয়ার অপেক্ষা নয়। রাত ১২টা বাজার অপেক্ষায় ছিল বাংলার বিপুল জনতা। জননেতা, তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক...

ফলপ্রকাশ SSC একাদশ-দ্বাদশের: ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ বাস্তবায়নের পদক্ষেপ, দাবি ব্রাত্যর

বাংলায় কর্মসংস্থানে সদা সচেষ্ট প্রশাসন ও প্রশাসনের সব দফতর। ফের একবার তার প্রমাণ মিলল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই এসএসসি-র...
Exit mobile version