Thursday, August 28, 2025

এক বছরে ‘ফকির’ মোদির সম্পত্তি বেড়েছে ৩৬ লক্ষ টাকার, শাহের কমেছে ৪ কোটি

Date:

বছর তিনেক আগে লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, পার্থিব কোনও জিনিসে তাঁর আগ্রহ নেই৷ এসব তাঁকে সে ভাবে টানেনা, কোনওদিনই টানেনি। তিনি একজন ‘ফকির’৷

বক্তা, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷

আর সদ্য প্রকাশিত তথ্য বলছে, গত ১ বছরে মোটামুটি ৩৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বেড়েছে ‘ফকির’ নরেন্দ্র মোদির। জানা গিয়েছে, সেভিংস অ্যাকাউন্টে মোদি জমা করেছেন লাখ তিনেক টাকা। আর মেয়াদি আমানতে সুদ সমেত টাকার অঙ্ক বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ৩৩ লক্ষ টাকার মতো।
গত ৩০ জুন পর্যন্ত মোদির আয় এবং মোট সম্পত্তির খতিয়ান প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। সেখানেই দেখা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২.৮৫ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে দাখিল করা হিসেবে এই অঙ্ক ছিলো ২.৪৯ কোটির। বলা হয়েছে, কোভিড বছরে এটুকু বৃদ্ধি মূলত ব্যাঙ্কে বেতন এবং আগের আমানতে সুদ জমা পড়ার দৌলতে।

শুধু প্রধানমন্ত্রী নন, একইসঙ্গে একই দিনে নিজেদের আয় এবং সম্পত্তির পরিমাণও প্রকাশ্যে এনেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর প্রমুখেরাও।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, মোদির সম্পত্তি বাড়লেও, শাহের কমেছে। ২০১৯ সালের ৩২.৩ কোটি টাকা এবছর নেমেছে ২৮.৬৩ কোটিতে। এর প্রধান কারণ না’কি খরিদ করা শেয়ার ও ঋণপত্রের দাম মূলধনী বাজারে ৪ কোটি টাকারও বেশি কমে যাওয়া। অমিত শাহের স্ত্রী সোনাল অমিত শাহের সম্পত্তিও ৯ কোটি থেকে কমে হয়েছে ৮.৫ কোটি টাকা। তবে মাঝের এক বছরে ১.৩৬ কোটি টাকার একটি সম্পত্তি কিনেছেন তাঁরা।

ওদিকে একটুও নড়াচড়া করেনি রাজনাথ সিংয়ের সম্পত্তি ৷ গত বছরের মতো এ বছরও তাঁর মোট সম্পত্তি ২.৯৭ কোটি টাকাতেই দাঁড়িয়ে৷

জানা গিয়েছে, গত ৬ বছর যাবৎ দিল্লির বাসিন্দা হলেও, প্রধানমন্ত্রীর সঞ্চয়ের টাকা রয়েছে গুজরাতে। স্টেট ব্যাঙ্কের গান্ধীনগর শাখায়। সেভিংস অ্যাকাউন্ট এবং মেয়াদি আমানতও সেখানেই। আয়কর বাঁচাতেও মোদি চেষ্টা করেছেন জীবনবিমার প্রিমিয়াম, ন্যাশনাল সেভিংস সার্টিফিকেট বা NSC এবং ২০১২ সালে কেনা পরিকাঠামো বন্ডের মাধ্যমে। সোনার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মোদির মোট ৪৫ গ্রামের সোনার ৪টি আংটির মূল্য কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু গুজরাতে বাড়ি ও জমির সম্ভাব্য দাম একই আছে, ১.১ কোটি টাকা। নিজের জন্য গাড়ি যেমন কেনেননি, তেমনই তাঁর নেই কোনও ধার।

সোশ্যাল মিডিয়ায় রসিকতাও শুরু হয়েছে মোদিজির সম্পত্তি নিয়ে৷ বলা হচ্ছে, ‘ফকির’ হিসেবে এই ব্যাঙ্ক-ব্যালান্স নেহাত মন্দ নয়। দেশের সব ফকির এমনই হোক৷

আরও পড়ুন-লাদাখ নিয়ে চিনের মন্তব্য এক্তিয়ার বহির্ভূত, জবাব ভারতের

Related articles

রজতজয়ন্তীতে ডব্লিউবিএনইউজেএসকে উচ্চ প্রশংসা, মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ প্রধান বিচারপতির

কলকাতার পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয় (ডব্লিউবিএনইউজেএস)-এর উৎকর্ষতা এখন বেঙ্গালুরুর থেকেও এগিয়ে—রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করলেন কলকাতা হাই কোর্টের...

এসএসসি নিয়োগ পরীক্ষা পিছবে না, আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট 

স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেও লাভ হলো না কিছু প্রার্থীর। দেশের...

যাত্রীদের জন্য দুঃসংবাদ! রবিবার টালিগঞ্জ থেকে ক্ষুদিরাম পর্যন্ত বন্ধ মেট্রো 

কলকাতার ব্লু লাইনের যাত্রীদের জন্য দুঃসংবাদ। আগামী রবিবার মহানায়ক উত্তম কুমার (টালিগঞ্জ) থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশন পর্যন্ত বন্ধ...

এনএইচএম কর্মীদের বড় উপহার, উৎসবের মুখে বোনাস ঘোষণা রাজ্যের 

উৎসবের দোরগোড়ায় জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের কাজে নিযুক্ত রাজ্যের স্বেচ্ছাসেবক ও চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের জন্য বড় ঘোষণা করল রাজ্য সরকার।...
Exit mobile version