অ্যান্টিবডি ৫ মাসে কমে গেলে ফের সংক্রমণের আশঙ্কা, সতর্কতা ICMR-এর

দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ আকার নিয়েছে। বাড়তে থাকা করোনা পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন ভারত সরকার। এরই মাঝে সেই উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে জানা গেল, একবার আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠার পর দ্বিতীয়বার ফের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটছে দেশের নানা প্রান্তে। যা নিশ্চিতভাবেই চিন্তার কারণ। এহেন পরিস্থিতিতে মাঝেই সম্প্রতি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব জানিয়ে দিলেন, আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠার পর ৫ মাসের মধ্যে শরীরে যদি অ্যান্টিবডি কমে যায় তাহলে ফের করোনা সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন বলরাম ভার্গব। সেখানে মানুষের উদ্দেশ্যে সচেতনতা বার্তা দিয়ে বারবার মাস্ক পরার অনুরোধ করেছেন তিনি। জানিয়েছেন সংক্রমণ রোধে যা যা নিয়মের কথা বলা হয়েছে সব অক্ষরে অক্ষরে পালনের জন্য। অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, যেকোনও সংক্রমনের পরই শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় করোনার ক্ষেত্রে সেরে ওঠার পর অ্যান্টিবডির স্থায়িত্ব থাকছে অন্তত পাঁচ মাস পর্যন্ত। এই সময় তিনি বলেন, কোনও ব্যক্তি করোনা সংক্রমিত হয়ে সেরে ওঠার পর পাঁচ মাসের মধ্যে যদি অ্যান্টিবডি কমে যায় তবে তার ফের করোনা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলস্বরূপ সেরে উঠলেও মাস্ক পরাটা অত্যন্ত জরুরী।

আরও পড়ুন: আটক চিনা সেনাকে ফিরিয়ে দিয়ে কথা রাখল ভারত

পাশাপাশি তিনি আরও বলেন এই ভাইরাস প্রতিমুহূর্তে অভিযোজিত হচ্ছে। প্রত্যেকটি মুহূর্তের নতুন করে শিখছি আমরা এর সম্পর্কে। পাশাপাশি রেমডিসিভির ও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন নামক ওষুধগুলি এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে খুব একটা কার্যকর হচ্ছে না বলে জানান ভার্গব। একইসঙ্গে করোনা চিকিৎসায় যে প্লাজমা থেরাপি পদ্ধতি চালু ছিল সেটিও খুব একটা কার্যকর হচ্ছে না বলে সম্প্রতি জানা গিয়েছে।