Sunday, August 24, 2025

গুজরাত দাঙ্গার পরিপ্রেক্ষিতে সিটের জেরার মুখোমুখি হয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তখন তিনি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। ২০০২ সালের সেই দাঙ্গার জেরে সিটের মুখোমুখি বসে মোদিকে জবাব দিতে হয়েছিল চোখা চোখা ১০০টি প্রশ্নের। এবং টানা ৯ ঘন্টার জেরায় তিনি নাকি একটিও প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাননি। আশ্চর্যের বিষয় হলো এক কাপ চাও সেদিন নাকি খেতে রাজি হননি মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

সেই সময় সিট-এর প্রধান ছিলেন আর কে রাঘবন। ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার তদন্তে সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত সিটের দায়িত্ব নেওয়ার আগে রাঘবন সিবিআইয়ের শীর্ষ কর্তা হিসাবে কাজ করেন। শুধু তাই নয় রাঘবন বোফর্স কেলেঙ্কারি, পশুখাদ্য মামলা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ম্যাচ গড়াপেটা কেলেঙ্কারির মতো হাইপ্রোফাইল মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন। ২০১৭ সালে অবসর নেওয়ার আগে সাইপ্রাসের হাইকমিশনারও ছিলেন। রাঘবন তাঁর কর্মজীবন নিয়ে একটি বই লিখেছেন। কার্যত তাঁর আত্মজীবনী। নাম ‘এ রোড ওয়েল ট্রাভেল্ড’। সেখানে তিনি ‘মুখ্যমন্ত্রী মোদি’র প্রসঙ্গ এনেছেন এবং তুলে ধরেছেন অজানা তথ্য।

সিটের জেরার দিন কী হয়েছিল? রাঘবন লিখেছেন, মোদি তাঁর কোনওরকম প্রতিক্রিয়া লুকিয়ে রাখেননি। প্রশ্নের উত্তরে যেরকম ভাব-ভঙ্গি হওয়ার কথা, তিনি সেটাই দেখিয়েছেন। রাঘবনের সহকারি অফিসার মালহোত্রা দুপুরের খাওয়ার জন্য বিরতি নেয়ার প্রস্তাব দেন। মোদি প্রথমে তা প্রত্যাখ্যান করেন। পরে বিরতি নেন, কিন্তু এক টুকরো খাবারও মুখে দেননি। তিনি শুধু জল খেয়েছিলেন এই ৯ ঘন্টার জেরায়। আর সেই জলও এনেছিলেন নিজেই। সিটের দেওয়া চাও প্রত্যাখ্যান করেন।

লেখার শেষে মন্তব্য নেই, শুধু রাঘবন ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।

 

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version