দুর্গাপুজো শেষ হলেও উৎসবের রয়ে গিয়েছে বঙ্গজীবনে। আসছে কালীপুজো। তারপরে জগদ্ধাত্রী, ছটপুজো। এই পরিস্থিতিতে কী বিধি মেনে উৎসব পালন হবে সে বিষয়ে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার, শুনানিতে রাজ্যের তরফে উচ্চ আদালতে জানানো হয়, দুর্গাপুজোর মতোই কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজোয় শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ হয়েছে। কিন্তু ছটপুজো নিয়ে রাজ্যের কোনও পরিকল্পনা নেই। আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী,

- *ছটে শোভাযাত্রা করার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।* সরকার তরফের অ্যাডভোক্যাট জেনারেল বলেন, ছটপুজোয় কোন পরিবার থেকে কতজন শোভাযাত্রায় অংশ নেবেন রাজ্যের পক্ষে ঠিক করে দেওয়া কঠিন।
আরও পড়ুন : তপসিয়া ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড, নিমেষে পুড়ে ছাই ২০টি ঝুপড়ি

হাইকোর্টের নির্দেশ:

- *সুভাষ সরোবর ও রবীন্দ্র সরোবরে ছট নিষিদ্ধ।*
যেখানে যেখানে ছটপুজো হয়, সেখানে প্রতিনিয়ত প্রচার চালাবে সরকার।
প্রতি পরিবার থেকে ২ জনের বেশি জলাশয়ে যাবে না - *শোভাযাত্রা চলবে না।*
ঢাক বা ছোট বাদ্যযন্ত্র ছাড়া বাজনা(DJ) চলবে না।
খোলা যানবাহনে করে জলাশয়ে আসা যেতে পারে।
জলাশয়ে সীমিত সংখ্যক মানুষ যাবেন।
কেএমডিএ সুপ্রিম কোর্টে যে আবেদন করেছে তার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট কোনও নির্দেশ না দিলে পরিবেশ আদালতের নির্দেশ কড়া ভাবে মানতে হবে। কলকাতা পুরসভা বা স্থানীয় পুর প্রতিনিধিদের দিয়ে পাড়ায় পাড়ায় প্রচার চালাতে হবে।নিয়ম মানাতে প্রয়োজনে রাজ্য ১৪৪ ধারার মতো ধারা বা নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে বলে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।


পাশাপাশি, কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজোয় ট্রেন পরিষেবা নিয়ন্ত্রিত রাখলে ভাল হয় বলে জানায় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ,

- *কালীপুজোর দিন ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ এবং জগদ্ধাত্রী পুজোয় চন্দননগরগামী ট্রেন নিয়ন্ত্রণ করলে ভাল*
তবে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিষয়টি রাজ্যের উপর ছেড়ে দিয়েছে আদালত।

পাশাপাশি, বাজি নিয়ন্ত্রণ নিয়েও পর্যবেক্ষণ দিয়েছে আদালত। বলেছে, *বাজি নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিশেষ টাস্কফোর্স করলে ভাল নজরদারি আরও ভাল হবে* ।

আরও পড়ুন : মাঝেরহাট ব্রিজ পরিদর্শনে পুরমন্ত্রী

ভিড় সামলাতে কোন অসুবিধা হলে রাজ্য আইন মোতাবেক পদক্ষেপ করবে। বায়ুদূষণ রোখার জন্য রাজ্যকে আদালতের নির্দেশ সম্পূর্ণ প্রয়োগ করার চেষ্টা করতে হবে। আতসবাজির ক্রেতা-বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করবে পুলিশ। ১২ নভেম্বরের মধ্যে প্রশাসনের তরফে নির্দিষ্ট ফোন নম্বর দিতে হবে বাজি সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর জন্য।

এই গাইডলাইন মেনে চলা হল কি না সে বিষয়ে ডিজি এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে আদালত খোলার এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
