অনুমতি নেই, উত্তরকন্যা অভিযানে মরিয়া বিজেপি

কিশোর সাহা

বিমল গুরুং তৃণমূল শিবিরে সামিল হওয়ায় শিলিগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় বিজেপির নেতা-কর্মীদের মনে বেশ জোরে ধাক্কা লেগেছে। তা সামলে উত্তরবঙ্গের নেতা-কর্মীদের মনোবল বাড়াতে সোমবার, উত্তরকন্যা অভিযানকে হাতিয়ার করতে চাইছে বিজেপি। একইসঙ্গে উত্তরকন্যা অভিযানকে সামনে রেখেই আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তরবঙ্গেও আসন্ন বিধানসভা ভোটের প্রচার শুরু করবে গেরুয়া শিবির। যদিও সরকারিভাবে ওই অভিযান বা কোনও মিছিলের অনুমতি নেই।

নবান্ন অভিযানের কায়দায় উত্তরবঙ্গের রাজনীতির ময়দান গরম করতে আসরে নামছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি মুকুল রায়, কেন্দ্রীয় পর্য়বেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সায়ন্তন বসু সহ অন্তত ২০ জন রাজ্যের প্রথম সারির নেতা। বিজেপি সূত্রের খবর, ওই অভিযানের মাধ্যমেই উত্তরবঙ্গে কোন সুরে ভোটের প্রচার হবে তা ঠিক করে দিতে চাইছেন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বেলা ১২টা নাগাদ অভিযান শুরুর কথা।

সোমবার সকাল থেকে শিলিগুড়ির অদূরে উত্তরকন্যার আশেপাশের এলাকা পুলিশে ছয়লাপ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে তাঁর উদ্যোগে উত্তরকন্যা তৈরি হয়। প্রায় ১০০ কোটি টাকা খরচ করে মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গের সচিবালয় হয় সেখানে। বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীদের জন্যও বরাদ্দ রয়েছে ঘর। সেখানে নিয়মিতভাবে জলপাইগুড়ির বিভাগীয় কমিশনার বসেন। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ, বহু কোটি টাকায় উত্তরকন্যা হলেও সেখানে কেন বিভাগীয় কমিশনার ছাড়া কেউ বসেন না! তা ছাড়া উত্তরবঙ্গের নানা সমস্যার সমাধানের কেন রাস্তা খোঁজেনি তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার সেই প্রশ্নও বিজেপি তুলছে। তাই বিজেপি উত্তরকন্যা অভিযানের ডাক দিয়েছে।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুলবাড়ির দিক থেকে অভিযানে অংশ নেবেন দিলীপ ঘোষ ও সায়ন্তন বসু। শিলিগুড়ি শহরের জলপাইমোড় থেকে মুকুল রায় ও কৈলাশ বিজয়বর্গী অংশ নেওয়ার কথা। দার্জিলিঙের সাংসদ রাজু বিস্ত শিলিগুড়ি শহরের কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে থেকে যাওয়ার কথা। কেন্দ্রীয় নেতা তেজস্বী সূর্য, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং উত্তরবঙ্গের বিজেপির সব নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হাজির থাকার কথা। সর্বভারতীয় নেতা শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেননেরও থাকার কথা।

পুলিশ সূত্র অবশ্য জানিয়েছে, মিছিল উত্তরকন্যার অনেক আগেই আটকে দেওয়া হবে। সে জন্য নানা এলাকায় ব্যারিকেড তৈরি হয়েছে। বলতে গেলে, সোমবার সকাল থেকে উত্তরকন্যার চারদিকের রাস্তায় ব্যারিকেড গড়া হয়েছে। কোথাও লোহার ব্যারিকেড, কোথাও বাঁশ দিয়ে প্রায় ৫ ফুট উঁচু ব্যারিকেড তৈরি হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ।