Wednesday, November 12, 2025

অসুস্থ প্রাক্তন মন্ত্রীকে মাঝপথেই অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামালো চালক, হেঁটেই ফিরলেন বাড়ি

Date:

নজিরবিহীন ঘটনা৷

করোনা আক্রান্ত হয়ে বেলেঘাটা আইডি ( ID Hospital) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাম আমলে রাজ্যের স্বাস্থ্য ও স্কুল শিক্ষামন্ত্রী পার্থ দে (partha de)।

করোনা মুক্ত হওয়ার পর হাসপাতাল থেকে ছুটি পান তিনি৷ হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, অ্যাম্বুল্যান্সই তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দেবে।

হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার একঘন্টা পর ৮০ বছরের এই প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী পার্থবাবু অ্যাম্বুল্যান্স পেলেন৷ তার পরেও চালক তাঁকে আরও অপেক্ষা করতে বলেন৷ এরপর আরও দু’জনের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স বসানো হয় পার্থ দে’কে।

এরপরই সেই ঘটনা৷ অভিযোগ উঠেছে, পার্থবাবুর বাড়ি বালিগঞ্জের পাম এভিনিউতে না গিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স প্রথমে সল্টলেকে যায়৷ সেখান থেকে বালিগঞ্জ। বালিগঞ্জ ফাঁড়ি আসার পর পার্থবাবু যখন চালককে বলেন, এখান থেকে পাম এভিনিউতে যেতে হবে৷ সঙ্গে সঙ্গে চালকের উত্তর, ‘এখান থেকে হেঁটে বাড়ি চলে যান’, এই বলে সেখানেই পার্থ দে’কে জোর করে রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়।

করোনামুক্ত হয়ে সদ্য হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া প্রাক্তন মন্ত্রী এরপর নিরুপায় হয়ে হেঁটেই বাড়ি ফেরেন।

সরকারি হাসপাতালের এমন অব্যবস্থা নিয়ে এদিন টুইটারে সরব হয়েছেন রাজ্যের আর এক প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম (cpm) রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র (suryakanta mishra)। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তিনি৷ বলেছেন, “করোনা হাসপাতালে ভর্তি হতে হলে তাঁর প্রথম পছন্দ বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল। কিন্তু ওই হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্স ও অন্যান্য পরিষেবায় এরকম ত্রুটি গত কয়েক মাসে ঘটেই চলেছে৷ একজন ৮০ বছরের করোনা রোগীর সঙ্গে এমন ঘটনা কেন ঘটলো, সমস্যা কোথায় হলো, তা খোঁজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন সূর্যবাবু।

জানা গিয়েছে, করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসায় গত ৮ ডিসেম্বর বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা স্কুল শিক্ষামন্ত্রী পার্থ দে। চিকিৎসক যোগীরাজ রায়ের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি। রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় ৬ দিন পর, ১৪ ডিসেম্বর তাঁকে বেলেঘাটা আইডি থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। এরপরই ওই অ্যাম্বুল্যান্স-কাণ্ড, যার জেরে মাঝপথ থেকে হেঁটেই বাড়ি ফেরেন পার্থবাবু৷ প্রাক্তন মন্ত্রীর কন্যা পেশায় একজন সরকারি চিকিৎসক। তিনি বলেছেন, “আমার বাবা প্রচার বিমুখ। তিনি যে রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, তা কাউকেই বলেননি৷ যদি কর্তৃপক্ষ ঠিকভাবে বাড়ি ফেরাতে না পারে, তাহলে পরিবারকে জানাতে পারতো”। তিনি বলেছেন, “একজন ৮০ বছরের করোনা- রোগীর সঙ্গেই যদি এই ঘটনা ঘটে, তাহলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কী ঘটছে, তা সহজেই অনুমেয়”৷ পার্থ দে’র পরিবারের তরফে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর এবং বেলেঘাটা আইডির সুপারকে অভিযোগ জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন- দীর্ঘক্ষণ সিবিআই জেরার মুখে গরু পাচার কাণ্ডের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড এনামুল

Related articles

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কে স্বচ্ছতা আনতে চালু অনলাইন অডিট ব্যবস্থা

রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এ বার থেকে সমস্ত সমবায় সমিতি...

সরকারি প্রকল্পে স্বচ্ছতা বাড়াতে চালু হচ্ছে জিও ট্যাগিং ব্যবস্থা! নির্দেশিকা জারি নবান্নের 

সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও তদারকিতে আরও স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। নবান্নের নির্দেশে এবার থেকে রাজ্যের...

মুখ্যমন্ত্রীকে কটূক্তি! ‘নারীবিদ্বেষী’ শান্তনু ঠাকুরের ইস্তফার দাবি তৃণমূলের

বিজেপি বাংলাকে সম্মান করে না। এই বিজেপি মহিলাদেরও সম্মান করে না, করতে জানেও না। সেটা আরও একবার প্রমাণ...

মৃত ভোটারের নামে ফর্ম জমা পড়লে কঠোর পদক্ষেপের নির্দেশ কমিশনের

মৃত ভোটারের নামে এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়লে এবার সরাসরি আইনি ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী,...
Exit mobile version