Sunday, August 24, 2025

PM CARES ফান্ড নিয়ে ফরেনসিক তদন্ত করুক CAG, সুখেন্দুশেখর রায়ের কলম

Date:

সুখেন্দুশেখর রায়
জাতীয় মুখপাত্র ও মুখ্য সচেতক, তৃণমূল সংসদীয় দল( রাজ্যসভা)

পিএম কেয়ার্স ফান্ডের( PM CARES) বিষয়ে কখনও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, এটি সরকারি ফান্ড। কিন্তু আরটিআইয়ের (RTI) আওতায় পড়ে না। আবার কখনও বলা হচ্ছে, সরকারি ফান্ড নয়।

প্রশ্ন :

( ১) সরকার প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেশের মানুষকে ঐ ফান্ডের মেমোরান্ডাম অফ ট্রাস্ট দলিলের নির্দিষ্ট অংশ দেখিয়ে বলুক, এটি বক, কচ্ছপ না বকচ্ছপ?

( ২) আরটিআইয়ের আওতায় আসবে না কেন? মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক, সরকারি কর্মচারী তাদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে বার্ষিক আয়ব্যয়ের হিসেব দেবেন, আর প্রধানমন্ত্রী (PM Narendra Modi) নেতৃত্বাধীন ট্রাষ্ট দেবে না? স্বচ্ছ ভারত কি শুধু শৌচাগারে আটকে থাকবে? লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা লেনদেনে কেন স্বচ্ছতা থাকবে না? ঘোটালা বেরিয়ে পড়তে পারে এই আশংকায়?

( ৩) সরকারি বয়ানে বলা হয়েছে বিভিন্ন দেশি- বিদেশি সংস্থা , এনআরআই, ব্যক্তি দান করেছে? এরা কারা? দানের বিনিময়ে তারা কী কী সরকারি সুবিধে পেলেন?

( ৪) এটা কি ঠিক যে বিদেশের সমস্ত ভারতীয় দূতাবাসকে কাজে লাগানো হয়েছে এনআরআই ও বিদেশি কোম্পানির ‘দান’ যোগাড় করতে এবং এর মধ্যে দুবাই ও চিনা কোম্পানিও নাকি প্রভূত টাকা দান করেছে ?

( ৫) ২৭ মার্চ তৈরি হওয়া এই ট্রাস্ট দলিলের ৩-এ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, “এই ট্রাস্টে কোনওভাবেই কোনও সরকার বা সরকারি সংস্থার মালিকানা, অর্থ বিনিয়োগ বা নিয়ন্ত্রণ নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের বা কোনও রাজ্য সরকারেরও ট্রাস্ট পরিচালনার ক্ষেত্রে কোন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ নেই।” তার মানে দাঁড়াল ট্রাস্টের নথিভুক্ত দলিলই বলছে, এটি অ-সরকারি ট্রাস্ট। অথচ, নথিভুক্ত হওয়ার পরের দিনই অর্থাৎ এবছর ২৮ মার্চ কেন্দ্রের কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রক অফিস মেমো জারি করে বললো, এই ফান্ড সিএসআর-এর (CSR) অনুদান নিতে পারবে। অথচ, কোম্পানি আইনে শুধুমাত্র সরকারি সংস্থাই কল্যাণমূলক কাজের জন্য কোম্পানিগুলির কাছ থেকে দান নিতে পারে। ঐ অফিস-মেমোও জনসমক্ষে প্রকাশ করা হোক। তাহলেই জানা যাবে ঐ ফান্ডে সরকারি সংস্থার টাকা ঢুকেছে কিনা। নইলে এই দু-মুখো সরকারি অবস্থানের বিষাক্ত ধোঁয়াশা কাটবে না।

দাবি:

( ১) অবিলম্বে এই ফান্ডের গঠন, আয়ব্যয়ের সূত্র ও পরিমাণ নিয়ে ফরেনসিক তদন্ত করুক সিএজি (CAG)৷

( ২) তদন্ত শেষ না হওয়া পর্য্যন্ত এই ফান্ডকে অ্যাটাচ করা হোক।

( ৩) অন্যথায় ট্রাস্ট ভেঙে দিয়ে সরকার সমস্ত টাকা বাজেয়াপ্ত করুক এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক।

( ৪) আর কোনও পদক্ষেপ না করে যদি শুধু এভাবে বিভ্রান্তি ছডানো হয় তাহলে বুঝতে হবে যে কোভিড-কালে এটি মোদি সরকারের সবচেয়ে বড় ঘোটালা যা দেশের মানুষকে জানতে দেওয়া হচ্ছে না।

সুতরাং মুখোশ খুলে মুখ খুলুক মোদি সরকার।

আরও পড়ুন- নন্দীগ্রামে শুভেন্দু’র বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী হতে চান মদন মিত্র

Related articles

পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পে নাম নথিভুক্তি শুরু

পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে এবার আরও এক পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচির আওতায় দুয়ারে সরকার শিবিরেও...

‘নিখুঁত ভুলগুলি’, উৎপল সিনহার কলম

একটা দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান হয়ে ওঠে ...একটি দুঃখের কথা পথে ও বিপথে ঘুরে প্রত্যাখ্যাত হতে হতে গান...

ষোলতেই ১৩০ কেজি! ছেলের খাবার জোগাতেই নাজেহাল বাবা-মা

মুর্শিদাবাদ জেলার সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের মথুরাপুর গ্রাম। এখানেই থাকেন দিনমজুর মুনশাদ আলি। তাঁর ছোট ছেলে জিশান আলি...

কবে থেকে শুরু জয়েন্টের কাউন্সেলিং? দিনক্ষণ জানিয়ে দিল বোর্ড

ফলপ্রকাশের পর এবার ১৫ দিনের মধ্যেই কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া তথা ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করবে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। এবার কাউন্সেলিং...
Exit mobile version