কৃষক বিক্ষোভের মধ্যেই ফের বিদেশ সফরে রাহুল, দলের অন্দরেই উঠছে প্রশ্ন

কংগ্রেসের(Congress) শীর্ষ নেতৃত্ব হিসেবে রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi) ধারাবাহিক নন, এ অভিযোগ আগেই তুলেছিলেন এনসিপি(NCP) প্রধান শরদ পাওয়ার(Sharad Pawar)। এবার তার সেই অভিযোগকে সত্যি প্রমাণ করেই দেশব্যাপী কৃষক আন্দোলন যখন প্রবল আকার ধারণ করেছে ঠিক সেই সময় বিদেশ সফরে গেলেন কংগ্রেস সাংসদ(Congress MP) রাহুল গান্ধী। তার এই সফরকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

সম্প্রতি কৃষক আন্দোলনকে(Farmers protest) কেন্দ্র করে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চেয়ে রামনাথ কোবিন্দের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। শুধু তাই নয় কৃষকদের দাবির পক্ষে সরকারের গাছাড়া মনোভাব নিয়ে দিল্লির রাস্তায় আন্দোলনে নেমে আটক হন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। এমন একটি পরিস্থিতির মাঝেই হঠাৎ রাহুলের এই বিদেশ সফর কংগ্রেস নেতাদের মনে নানান প্রশ্ন তুলছে। প্রশ্ন উঠছে আদৌ কৃষক আন্দোলনকে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে কংগ্রেস, তা নিয়েও। তবে রাহুল গান্ধী কোথায় গিয়েছেন তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সূর্যেওয়ালা। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি শুধু জানান, অল্প কয়েক দিনের ব্যক্তিগত সফরে রাহুল বিদেশে গিয়েছেন। তিনি কয়েক দিন বাইরে থাকবেন। কিন্তু কোথায় গিয়েছেন তিনি? সেবিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি।

এদিকে রাহুলের এহেন ভূমিকায় যথেষ্ট সন্তুষ্ট ইউপিএ জোটের অন্তর্গত বিরোধী শিবির। রাহুলের এই আছি এই নেই মনোভাবের জন্যই সংগঠন ক্রমশ খারাপের দিকে গিয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। এদিকে কৃষক নেতারাও একই অভিযোগ তুলেছেন রাহুলের বিরুদ্ধে। ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন (টিকায়েত)-এর নেতা রাকেশ টিকায়েত রাহুলের বিদেশ-যাত্রার কথা শুনে বলেন, ‘উনি তো কোথাও কৃষকদের ধর্নায় যাননি। কারও সঙ্গে কথাও বলেননি। আমাদের বিরোধীরা খুবই দুর্বল। তারা হাঙ্গামা করে না, লাঠি খায় না, জেলে যায় না।’

আরও পড়ুন:ববি মুখ খুললেই তুলোধোনা করছেন শুভেন্দু

এদিকে ইউপিএ জোটের নেতৃত্ব সংকট নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠলে শিবসেনার তরফে দাবি করা হয়েছে সোনিয়ার পর শরদ পাওয়ারকেই ইউপিএ চেয়ারপার্সন হিসেবে দেখতে চাইছেন তারা। যদিও সেই জল্পনায় জল ঢেলে পি চিদম্বরম বলেন, ‘আমার মনে হয় না, পওয়ার নিজেও ইউপিএ-র চেয়ারপার্সন হতে চান। ইউপিএ-র দলগুলির বৈঠক হলে, বৃহত্তম দলের নেতাই সভাপতিত্ব করবেন।’ এর পরে পওয়ার নিজেই জানিয়ে দেন, তিনি ইউপিএ-র চেয়ারপার্সন হতে চান না। তবে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন আগামী দিনে সোনিয়া পরবর্তী সময়ে ইউপিএ চেয়ারপারসন হিসেবে অধারাবাহিক রাহুল গান্ধীর নামে যে প্রবল আপত্তি থাকবে তা বেশ অনুমান করা যায়।

Previous articleববি মুখ খুললেই তুলোধোনা করছেন শুভেন্দু
Next articleঅযোধ্যা পাহাড় থেকে পিকনিক করে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মৃত ৪, আশঙ্কাজনক ৫