Thursday, August 21, 2025

বড়সড় কৌশল তৃণমূলের (TMC)৷

ভোটের আগেই ‘শত্রু’ রাজ্যপালের মুখ থেকে সরকারের সাফল্যের খতিয়ান শোনানোর কৌশল নিয়েছে তৃণমূল এবং প্রশাসন৷ এই লক্ষ্যে নীরবে সলতে পাকানোর কাজেও নেমে পড়েছে নবান্ন।
গত দেড় বছর যাবৎ রাজ্যপালের (Dhankar) সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পর্ক খারাপ থেকে আরও খারাপ হয়েছে৷ বস্তুত কেউ কাউকে সহ্য করতেই নারাজ৷ নানা ইস্যুতে বারবার দু’তরফ সংঘাতে জড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজ্যপালের কিছু মন্তব্য যেমন আপত্তিকর, তেমনই রাজ্যপাল সম্পর্কে শাসক দলের জনাকয়েক সাংসদ এবং নেতার উক্তিও চরম অশোভনীয়৷ ফলে রাজভবনের সঙ্গে নবান্নের দূরত্ব বেড়েই চলেছে৷ রাষ্ট্রপতির কাছে এই রাজ্যপালকে ‘ফিরিয়ে নেওয়ার’ আর্জিও জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় দল৷

ভোটের মুখে জগদীপ ধনকড়ের উপর চাপ আরও বৃদ্ধি করতে কৌশলি সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন তথা তৃণমূল৷ স্থির হয়েছে, রাজ্যপালকে দিয়েই সরকারের সাফল্যের কথা বলানো হবে৷
বিধানসভার চালু প্রথা, বাজেট অধিবেশনের সূচনা হয় রাজ্যপালের ভাষণের মাধ্যমে। প্রথানুযায়ী, রাজ্যপালের সেই ভাষণের খসড়া তৈরি করে প্রশাসন৷ ভোটের বছরে সেই ভাষণের খসড়াতেই রাজ্যপাল যাতে সরকারের সাফল্যের কথা পড়তে বাধ্য হন, স্বরাষ্ট্র দফতর এখন সেই কাজে ঝাঁপিয়েছে৷ তবে নবান্নের আশঙ্কা, এই ইস্যুতে রাজভবনের সঙ্গে সংঘাত চরমে উঠতে পারে৷ নবান্ন সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে স্বরাষ্ট্র দফতরের এক বিশেষ সচিব সব দফতরের প্রধান বা অতিরিক্ত মুখ্যসচিবদের কাছে এই ইস্যুতে চিঠি পাঠিয়েছেন৷ ওই চিঠিতে,সব দফতরকে তাদের চলতি আর্থিক বছরের সাফল্যের কথা বিস্তারিত জানাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, আগামী আর্থিক বছরে দফতরগুলি কোন কোন বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে কার্যকর চাইছে, সে সবও জানাতে হবে৷ এই রিপোর্ট তৈরি করতে গত আর্থিক বছরে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রর বাজেট ভাষণে যে সব তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়েছেন, সেদিকে বিশেষ নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। প্রত্যেক দফতরকে বলা হয়েছে, তাদের সাফল্যের কথা ১ হাজার শব্দের মধ্যে লিখে পাঠাতে হবে৷

জানা গিয়েছে, সব দফতর থেকে পাওয়া রিপোর্ট থেকেই তৈরি হবে রাজ্যপালের ভাষণ৷ ওই খসড়া প্রথমে মুখ্যসচিব এবং পরে মুখ্যমন্ত্রীর সামনে পেশ করা হবে৷ আর তার পরই অনুমোদনের জন্য খসড়া ভাষণ পাঠানো হবে রাজভবনে। তবে, নবান্নের আশঙ্কা, এই খসড়া- বক্তৃতা রাজভবনের সবুজ সংকেত আদৌ পাবেনা৷

প্রসঙ্গত,গত বছর যে খসড়া ভাষণ রাজভবনে পাঠানো হয়েছিলো, সেখানে কিছু বিষয় নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন রাজ্যপাল৷
তবে নিয়ম এটাই, নবান্নের তৈরি করা ভাষণই বিধানসভায় পড়তে বাধ্য রাজ্যপাল। কিন্তু নবান্ন-রাজভবনে সংঘাত যখন চরমে উঠেছে, তখন খুব সহজে রাজ্যপাল এবার নবান্নের বয়ান নাও মানতে পারেন৷

Related articles

যোগীরাজ্যের পাঠ্যপুস্তকে বাদ কেন রবীন্দ্রনাথকে? সাংসদ ঋতব্রতর প্রশ্নে অস্বস্তিতে কেন্দ্র

উত্তরপ্রদেশের দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কি বাদ দেওয়া হয়েছে? তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নে স্পষ্টতই...

প্রয়াত সিপিএম নেতা-প্রাক্তন মন্ত্রী দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া

প্রয়াত সিপিএমের বর্ষীয়ান নেতা দীনেশচন্দ্র ডাকুয়া। বুধবার এনআরএস হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর।...

উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউয়ে ডাক মেলেনি! শীর্ষ আদালতে শান্তা দত্ত 

স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ইন্টারভিউ পর্বে ডাক পাননি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্ত। যোগ্য হয়েও তাঁকে সুযোগ দেওয়া...

১৫ দিনেই রেকর্ড সাফল্য! রাজ্যে সাড়া ফেলল ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি

মাত্র পনেরো দিনেই নজির গড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন কর্মসূচি, ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’। রাজ্যের মানুষের হাতে উন্নয়নের...
Exit mobile version