ফের ‘সমস্যা’ না হলে আজ বিজেপির পতাকা নিয়ে পথে নামতে পারেন শোভন

গোলপার্ক থেকে সেলিমপুর৷
বাসস্টপের হিসেব ধরলে মাঝে মাত্র একটি স্টপেজ, ঢাকুরিয়া৷

গত সোমবারের মতো একেবারে শেষ মুহুর্তে ‘শরীর খারাপ’ না হলে এই পথেই আজ সোমবার বেলা চারটের সময় ‘মেগা-মিছিল’ দক্ষিণ কলকাতা বিজেপি à§· আর সেই মিছিলের সামনে থাকবেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovon chatterjee) à§· শোভন এখন বিজেপির কলকাতা জেলার পর্যবেক্ষক à§· সঙ্গে থাকবেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ( Baishaki banerjee) à§· মিছিলের পর সাড়ে ৬টায় সংবাদমাধ্যমেরও মুখোমুখি হবেন শোভন৷ দক্ষিণ কলকাতা বিজেপির সভাপতি শঙ্কর শিকদার এমন ঘোষণাই করেছেন৷

গত সোমবার বিজেপিতে (BJP) শোভনের ‘লঞ্চিং-প্রোগ্রাম’ সাজিয়েছিলো বিজেপি৷ সেদিনের মিছিলের রুট ছিলো আলিপুর চিড়িয়াখানার কাছে অরফানগঞ্জ রোড থেকে মুরলীধর সেন লেনে রাজ্য বিজেপির সদর দফতর পর্যন্ত। কিন্তু সেদিন বান্ধবী বৈশাখীর পা অনেকটাই ফুলে গিয়েছিলো৷ পায়ে ভীষণ ব্যথার জন্য শোভন বাড়ি থেকে বেরোতে পারেননি৷ ওই মিছিলেও যোগ দিতে পারেননি শোভন৷ বৈশাখীই পরে জানিয়েছিলেন, খুব সিরিয়াস ছিলো ব্যথা৷ বাড়িতে ‘বড়’ কেউ ছিলো না৷ পরিচর্যার দরকার ছিলো৷ তাই শোভন মিছিলে যেতে পারেনি৷

এই ঘটনাকে বিজেপি ভালোভাবে নেয়নি৷ এতখানি বেইজ্জত দলগতভাবে বিজেপি আগে হয়নি৷ তাই এবার আর বিষয়টি এত সহজ থাকছেনা৷ তাই এবার মাঠে নামার আগে বিজেপি নানা শর্ত সামনে এনেছে৷ এবং বিরাট পরীক্ষার মুখে ফেলেছে শোভনবাবু এবং বৈশাখীদেবীকে৷ আজকের পদযাত্রার সাফল্য- ব্যর্থতার মধ্যেই দুই বন্ধুর অস্তিত্ব নির্ভর করছে৷ গত সপ্তাহের অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে এ বার শুধু সতর্ক থাকাই নয়, ওই কর্মসূচি থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখছেন দলের রাজ্য নেতারা। সূত্রের খবর, সোমবারের মিছিলে রাজ্যস্তরের কোনও নেতাই থাকছেন না। কলকাতা জোনের সব নেতাও থাকছেন না। সোমবার শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে যে মিছিল, তা শুধুই দলের দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলার কর্মসূচি। রাজ্য বিজেপির এক শীর্ষ স্তরের নেতা বলেছেন, ‘‘দলের যথেষ্ট মুখ পুড়েছে শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে। দলকে রীতিমতো বিব্রত হতে হচ্ছে বার বার। এই অবস্থায় ওঁরা নিজেরাই দেখান, ওঁদের লোকবল কতটা।’’ আর সেকারনেই সম্ভবত গত সোমবারের রোড-শোর দায়িত্বে থাকা রাজ্যে বিজেপির বস্তি উন্নয়ন শাখার আহ্বায়ক রাকেশ সিং-কে আজকের মিছিল নিয়ে তেমন তৎপর হতেও দেখা যাচ্ছেনা এখনও পর্যন্ত ৷

বিজেপি তথা রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের চোখ এখন ওই মিছিলের দিকে৷ এই মিছিলই ঠিক করবে, বিজেপিতে শোভন কত নম্বর পাবেন৷ তাই সবাই নজর রাখছে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের দিকেও৷