Saturday, August 23, 2025

কৃষি আইনের (farm law) বিরুদ্ধে কৃষক সংগঠনগুলির লাগাতার আন্দোলনের (farmers protest) ৫০ দিন কেটে গেলেও সমাধানসূত্র অমিল। শুক্রবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে কেন্দ্র-কৃষক নবম রাউন্ডের বৈঠকও অমীমাংসিত (inconclusive) থেকে গেল। সরকার এবং কৃষক সংগঠন দুপক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকায় আলোচনার কোনও অগ্রগতি ঘটেনি। আলোচনা অব্যাহত রাখার চেষ্টায় অবশ্য আগামী ১৯ জানুয়ারি ফের বৈঠকে বসছে দু’পক্ষ। এদিনের বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ তথা সারা ভারত কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা। ক্ষুব্ধ কৃষক নেতা বলেছেন, বৈঠকের নাম করে শুধু শুধু সময় নষ্ট করছে কেন্দ্র। আমরা আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়ার পরেও সরকার এই কাজ করে চলেছে। অন্যদিকে এদিনই ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের (বিকেইউ) মুখপাত্র রাজেশ টিকাইত জানিয়েছেন, দেশের শীর্ষ আদালত যদি নির্দেশ জারি করে একমাত্র তাহলেই আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন দিল্লির রাজপথে প্রতিবাদী কৃষকদের ট্র্যাক্টর র‍্যালি হবে না। যদিও শিখ ফর জাস্টিসের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদেকে চিঠি দিয়ে ২৬ জানুয়ারি ট্র্যাক্টর র‍্যালির অনুমতি দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইন প্রয়োগে সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করার পরে এদিন কেন্দ্র ও কৃষক সংগঠনের নেতাদের বৈঠকের দিকে নজর ছিল গোটা দেশের। বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরও আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, আজকের বৈঠকে ইতিবাচক ফলাফল আশা করছি। সমস্যা সমাধানের রাস্তা বেরোবে। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটল না। তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় থাকেন বৈঠকে অংশগ্রহণকারী কৃষক নেতারা। তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কৃষি আইন প্রত্যাহার ছাড়া অন্য কোনও বিকল্প মানা হবে না। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীও পাল্টা বলেন, কোনও অবস্থাতেই কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হবে না। কৃষিমন্ত্রীর কথায়, দেশজুড়ে বিপুল সংখ্যক কৃষক নতুন আইনকে সমর্থন করছেন। কৃষক নেতারা তখন পাল্টা তাঁকে বলেন, আপনি বলছেন, দেশের বিপুল সংখ্যক কৃষক কৃষি আইনকে সমর্থন জানিয়েছেন। অথচ তার পরেও দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকরা। ফলে আপনার কথার কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।

আরও পড়ুন:ফের ধ্বস শেয়ারবাজারে, ৫৪৯ পয়েন্ট নামল সেনসেক্সের সূচক

Related articles

অসংগঠিত শ্রমিক-ক্ষেত্রে পথ দেখাচ্ছে বাংলা: সাহায্য পেলেন ৭২০ শ্রমিক

একের পর এক নতুন প্রকল্প, অসংগঠিত শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে লাগাতার আলোচনা, তাঁদের পরিবারের প্রতি নজর রাখার ব্যাপারে তৎপর...

প্রাপ্য চায় বাংলা, উপহার না: মোদিকে জবাব তৃণমূলের

বাংলার মানুষ উপহার চায় না, প্রাপ্য চায়। উপহার দিয়ে বাংলার মানুষকে অপমান করবেন না। বাংলায় বরাদ্দ নিয়ে শুক্রবার...

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ শাহ, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা মোদির: কটাক্ষ তৃণমূলের

অনুপ্রবেশ ইস্যুকে বার বার জাগিয়ে তুলে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার আদতে নিজেদের ভুল নিজেরাই চোখ আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।...

রাজ্যে শুরু SIR প্রস্তুতি: একাধিক পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের

গোটা দেশেই এসআইআর লাগু হবে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার (Gyanesh Kumar)। বিহারে ৬৫ হাজার...
Exit mobile version