সামনে বাংলার ভোট, তাই “নেতাজি এক্সপ্রেস” নাম ঘোষণা কেন্দ্রের

দুয়ারে ভোট। বাংলার বিধানসভা নির্বাচন কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির কাছে মর্যাদার লড়াই। তাই বাংলার মনীষীদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্র সরকারের বিশেষ তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একদিকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর (netaji subhashchandra bose) জন্মদিনকে পরাক্রম দিবস হিসাবে ঘোষণা এবং অন্যদিকে তাঁর নামে ট্রেনের নামকরণ; সবই এই সক্রিয়তার অংশ। নেতাজির ১২৫-তম জন্মজয়ন্তীর আগে ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ঐতিহ্যবাহী হাওড়া-কালকা মেলের নাম বদলে করা হল ‘নেতাজি এক্সপ্রেস’ (netaji express)।

রেলবোর্ডের তরফে রেলের সমস্ত বিভাগের জেনারেল ম্যানেজারদের এই ঘোষণার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, গত ১৪ জানুয়ারি, হাওড়া-কালকা মেলের নাম বদলের প্রস্তাব আসে রেলমন্ত্রকের কাছে। সেই প্রস্তাব মেনেই হাওড়া-কালকা মেলের নাম বদলে ‘নেতাজি এক্সপ্রেস’ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এদিকে, নেতাজির জন্মদিবস ‘পরাক্রম দিবস’ হিসাবে পালিত হবে বলে ঘোষণা করেছে মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং পটেল বলেন, সরকার ২৩ জানুয়ারি দিনটি পরাক্রম দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন ‘দেশনায়ক দিবস’ হিসাবে দিনটি উদযাপিত হোক। আমরা এটা ‘দেশনায়ক দিবস’ হিসেবে পালন করব। পরাক্রমের তো অনেক মানে হয়। ২৩-শে জানুয়ারিকে জাতীয় ছুটি ঘোষণার দাবিতে ফের সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, বারবার বলছি, ২৩ জানুয়ারিকে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করতে হবে। সেটা আগে করে দেখাক কেন্দ্র।

এদিকে আবার ফরওয়ার্ড ব্লকের বক্তব্য, নেতাজির জন্মদিন পালিত হোক ‘দেশপ্রেম দিবস’ হিসাবে। বাম পরিষদীয় দল নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, আমাদের দাবি ‘দেশপ্রেম দিবস’। কেন্দ্র মানুষের আবেগকে মর্যাদা দেয়নি। বিজেপি ও তৃণমূল দুটো দলই নেতাজিকে নিয়ে রাজনীতি করছে। সব মিলিয়ে তিন পক্ষের মতানৈক্যের জেরে এবারের ২৩ জানুয়ারি নেতাজি জন্মজয়ন্তী একাধারে ‘দেশনায়ক দিবস’, ‘দেশপ্রেম দিবস’ ও ‘পরাক্রম দিবস’ হিসাবে উদযাপিত হতে চলেছে।