Saturday, November 8, 2025

এই বাজেট দিশাহীন, বিভ্রান্তিকর, মধ্যবিত্ত বিরোধী! মন্তব্য রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের

Date:

নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) সরকারের বাজেট দিশাহীন, বিভ্রান্তিকর, মধ্যবিত্ত বিরোধী! সাধারণ মানুষের হাতে টাকাই নেই। এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী (State Finance Minister) অমিত মিত্র (Amit Mitra)।

রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর বিশ্লেষণে নির্মলা সীতারমনের (Nirmala Shitaraman) এবারের কেন্দ্রীয় বাজেট আদতে দিশাহীন এবং বিভ্রান্তকর। মহামারি পরিস্থিতিতে বিশ্বের সর্বত্র সাধারণ মানুষের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। অর্থনৈতিক মডেলেও সেই সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু সেই পথে না হেঁটে বাজেটে শুধু জোগান বাড়ানোর পথ প্রশস্ত করছে মোদি সরকার। পরিবর্তে মানুষের হাতে সরাসরি নগদ অর্থ তুলে দিলে ক্রয়ক্ষমতা বাড়ত। স্বভাবতই বাজারে জোগান বৃদ্ধি পেত। এক্ষেত্রে ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ কেইনসের নীতি তুলে ধরেন অমিত মিত্র।

প্রসঙ্গত, নোবেলজয়ী দুই বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ও অমর্ত্য সেন করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় সাধারণ মানুষের হাতে নগদ অর্থ পৌঁছে দিতে বলেছিলেন। সেই সুরেও বাজেটের তীব্র সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তিনি বললেন, ‘‘বাজেট বিভ্রান্ত। মধ্যবিত্তের জন্য এই বাজেটে কিছুই নেই। করোনা পরবর্তী সময়ে বাজার চাঙ্গা করতে মানুষের হাতে সরাসরি অর্থ পৌঁছে দেওয়া দরকার ছিল। যাতে বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি পায়। তা দিল না কেন্দ্র। উল্টে সরকারের শেষ পুঁজিটুকু বেচে দেওয়ার বাজেট পেশ হল সোমবার।’’

এখানেই থামেননি অমিত মিত্র। কেন্দ্র সমস্ত কিছুর বেসরকারিকরণ করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।তাঁর মতে, ‘‘পিপিপি মডেল আসলে ভাঁওতা। সরকারের যা শেষতম পুঁজি ছিল, তা বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্র। ২টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক বিক্রি করে দেওয়া হবে। এখনও কেউ জানে না, কোন ব্যাঙ্কগুলির কথা বলা হচ্ছে। জীবন বিমার ক্ষেত্রে ৭৪ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছে। শেয়ার ছাড়া হয়েছে এলআইসি-এর। সব মিলিয়ে বাজেটে কোনও দিশা নেই সাধারণ মানুষের জন্য। এ এক দিশাহারা বাজেট।’’

একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে রাজ্য সরকারের প্রকল্পের তুলনা টেনে এনে এবং পরিসংখ্যান তুলে ধরে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী জানান, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার একাই করোনা মোকাবিলায় ৪ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার করোনা মোকাবিলায় রাজ্যকে যথেষ্ট সাহায্য করেনি।”

অমিত মিত্র প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার পশ্চিমবঙ্গে ৮৮ হাজার ৮৪১ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করেছে। বড় রাস্তা তৈরি হয়েছে ৫ হাজার ১১১ কিলোমিটার। ভোটের দিকে চেয়ে রাস্তা তৈরির প্রকল্প ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।’’

যদিও কেন্দ্রের দাবি, পরিকাঠামো খাতে অর্থ জোগানের ফলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান তৈরি হবে। প্রকল্প শেষ হলে শুধু কর্মসংস্থান মিলবে, তা নয়। বরং, গোড়া থেকেই সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ তাতে যুক্ত থাকবেন। ফলে করোনা ভাইরাসের জেরে যে কাজের আকাল তৈরি হয়েছে, তা সেই সমস্যার কিছুটা সুরাহা হবে। মানুষের হাতে টাকা আসবে। বাড়বে ক্রয়ক্ষমতা। তাতে ভর করে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি।

আরও পড়ুন:ফেব্রুয়ারির ৮-৯ তারিখ দু’দিনের বঙ্গ সফরে অমিত শাহ

Related articles

মতুয়া-ফায়দা লোটার চেষ্টা: অনশন মঞ্চে হঠাৎ হাজির বাম-কংগ্রেস!

বাংলার শাসকদল তৃণমূলের বিরোধিতা করাই বাংলার বাম নেতৃত্ব ও কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের স্বভাবসিদ্ধ। বিরোধিতার পর্যায়টা এক এক সময়ে...

জন্মদিনে চরম অসৌজন্য! অভিষেককে নিয়ে বিজেপির পোস্টে সরব নেটদুনিয়া

বাংলায় বরাবর সৌজন্যের রাজনীতি দেখিয়ে এসেছে সব রাজনৈতিক দল। বাম আমলে সিপিআইএম নেতা থেকে তৃণমূল বা কংগ্রেস নেতাদের...

আইএসএল নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা, অনুশীলনই বন্ধ রাখল মোহনবাগান

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে মোহনবাগানের(Mohun Bagan) সিনিয়র দলের অনুশীলন। খবর অনুযায়ী, আইএসএল নিয়ে প্রবল অনিশ্চয়তা। টেন্ডার সংক্রান্ত বিষয়...

জন্মদিনে মানুষের ভালবাসা মনে করিয়ে দেয় কর্তব্য: ভিড়ে মিশে গেলেন অভিষেক

সকাল হওয়ার অপেক্ষা নয়। রাত ১২টা বাজার অপেক্ষায় ছিল বাংলার বিপুল জনতা। জননেতা, তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক...
Exit mobile version